খালেদার নাতনি জাফিয়ার অনন্য কৃতিত্ব

0

Khaleda‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় প্রতিভার সাক্ষর রাখল বাংলাদেশি কিশোরী জাফিয়া রহমান। অতিরিক্ত একটি বিষয়সহ ১১ বিষয়ের মধ্যে সাত বিষয়ে গ্লোডেন ‘এ’ প্লাস এবং তিনটিতে ‘এ’ প্লাস পেয়েছে জাফিয়া।

জাফিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে সদ্য প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর বড় মেয়ে।
সে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত গার্ডেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে এবছর এই ফলাফল অর্জন করেছে।

জাফিয়ার বাবা কোকোকে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের দাদা বাড়ি থেকে দাদি খালেদা জিয়ার সাথে গ্রেফতার করা হয়।
এররপর ওই বাড়িতে মা শর্মিলা রহমান ও ছোট বোন জাহিয়া রহমানের সাথেই ছিল জাফিয়া।

পরে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে অসুস্থ কোকো চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যান। সাথে যায় জাফিয়া, তার মা ও ছোট বোন।

পরে কোকো মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে চলে যান। সেখানে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি বসবাস করেন।

কোকো অসুস্থ হলেও দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়ার পড়াশোনার ব্যাপারে সব সময় যত্নবান ছিলেন। প্রায় প্রতিদিন তিনিই দুই মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতেন।

চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি কুয়ালালামপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোকো। গত ২৭ জানুয়ারি বাবার লাশের সাথে মা ও বোনের সাথে জাফিয়া দেশে আসে।

দেশে ফেরার পর গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ দাদির সাথে অবস্থান করে দুই নাতনি জাফিয়া ও জাহিয়া। কিন্তু ওই কার্যালয়ের বিদ্যুৎ-গ্যাস লাইন এবং টেলিফোন ও ক্যাবল টিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

পরে স্কুল খোলা থাকায় মায়ের সাথে মালয়েশিয়া ফিরে যায় জাফিয়া-জাহিয়া।

গত ১২ আগস্ট ছিল বাবা কোকোর ৪৬ জন্মদিন ও ১৫ আগস্ট ছিল দাদি খালেদা জিয়ার ৭০তম জন্মদিন। আর এ মাসেই খবর এল জাফিয়ার কৃতিত্বের খবর।

জাফিয়ার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More