ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ তাকে সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের এখতিয়ার রাখে না বলে দাবি করেছেন লতিফ সিদ্দিকী। তবে এর জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসারেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি চাইলে এ নিয়ে আদালতে যেতে পারেন।
রোববার বিকালে বাংলামেইলের সঙ্গে আলাপকালে সুরঞ্জিত এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। সেক্ষেত্রে তিনি যদি মনে করেন দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা বেআইনি হয়েছে তাহলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত হবে চূড়ান্ত। সুতরাং আদালতের রায়ের আগেই কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চাই না।’
এর আগে দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস নির্বাচন কমিশনে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য বাতিল করার সুপারিশ করে চিঠি দেন। এরপর তিনি বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী আর আওয়ামী লীগের কেউ নন। তিনি আইনগতভাবেই ওই অধিকার হারিয়েছেন।’
দলের সাধারণ সম্পাদকের চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘ওই চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের অনুরোধ করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গত ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় গঠনতন্ত্র অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়।