শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, গণমাধ্যম, আইন, শিক্ষা, বাণিজ্য, রাজনীতিসহ সব অঙ্গনের নেতৃস্থানীয়দের নিয়ে অন্যরকম একটি দিন কাটালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিজের সরকারি বাড়িতে সোমবারের এই আয়োজনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোলা মাঠে মাদুর পেতে বসেন সরকারপ্রধান। সেখানেই পিঠা-পুলি দিয়ে আপ্যায়িত করা হয় অতিথিদের।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গ; সেই সঙ্গে গল্প, গান আর কবিতার আড্ডায় সময় কাটে আমন্ত্রিত অতিথিদের। পাশের মঞ্চে চলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও ছিল তাদের উপভোগের অনুষঙ্গ।
চা চক্র ও পিঠা উৎসবে বিশিষ্টজনদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, অনুষ্ঠান উপভোগের পর আমন্ত্রিতরা নৈশভোজও সারেন সেখানে।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গণভবনের লনে খোলা মাঠে। বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরুর আগেই ভাগে ভাগে রাখা নানা ধরনের পিঠা-পুলির সমারোহ দৃষ্টি কাড়ে অতিথিদের।
সেই সঙ্গে কাবাব, পরটা, নানসহ নানা স্বাদের খাবারও রাখা হয়েছিল। রাতের খাবারে বিরিয়ানির সঙ্গে ছিল মুরগির মাংসের ঝোল, দই ও মিষ্টি।
অনুষ্ঠানে এসেই খোলা মাঠে ঘাসের ওপর মাদুর পেতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসে পড়েন শেখ হাসিনা।
তখন আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই আশপাশে বসে ও দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। পরে অনেকে প্রধানমন্ত্রীর চার পাশে এসে বসেন। তার সঙ্গে কুশল বিনিময় হয় অনেকের।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে মাগরিবের নামাজের পর আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ফলপ্রসূ বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতি অবসানের ইঙ্গিতও মিলেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
এই চা চক্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমানও ছিলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ওমর ফারুক, লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদিরও ছিলেন অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদার, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, বিএমএন মহাসচিব ইকবাল আর্সলান এই চা চক্রে ছিলেন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে এই উৎসবে ছিলেন কবি মহাদেব সাহা, অভিনেতা ইনামুল হক, আলী যাকের, ফারুক, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, চঞ্চল চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, ফকির আলমগীর, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ।
বিজিএমইএ সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমানসহ ব্যবসায়ী নেতারাও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
রাজনীতিকদের মধ্যে ছিলেন আবদুল মতিন খসরু, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর রিজভী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লা আল মামুন, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, তথ্য সচিব মুর্তজা আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।