[ads1]জঙ্গিদের অর্থদাতা ও মদতদাতা যতই ক্ষমতাশালীই হোক না তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জঙ্গিদের মদতদাতা সে কে এটা আমি দেখতে চাইনা। তাদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি দমনে সারা বিশ্ব বাংলাদেশের সঙ্গে আছে।
শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে গুলশান ক্যাফে আলোচিত জঙ্গি হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ করছে। আমরা সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করছি। কোথা থেকে তারা (জঙ্গিরা) অর্থ ও অস্ত্র পেল। কারা হামলা করতে উৎসাহিত করল। সব বের করতে পারব। জনগণের শক্তি বড় শক্তি।
তদন্তের বিষয়ে আরো বলেন, জঙ্গিদের মরদেহগুলো এখনো রয়ে গেছে। নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।[ads2]
যেগুলো দেশে সম্ভব সেগুলো দেশে হচ্ছে, বাকিগুলো বিদেশে। কীভাবে ঠান্ডা মাথায় নিষ্ঠুরভাবে মানুষ হত্যা করে তা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ জুলাই গুলশানে যে জঘন্য হামলা হয়েছে তা কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব না। মেয়েগুলোর ওপর যেভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে, কাটা চামচ দিয়ে খোঁচানো হয়েছে, ঠান্ডা মাথায় এভাবে কেউ করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুলশানে জঙ্গি হামলায় অনেকের ধারণা ছিল সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। কিন্তু জঙ্গি দমনে বিশ্বের প্রায় সব দেশ সরকারের সঙ্গে আছে। জঙ্গি দমনে সরকারের সঙ্গে তারা একাত্মতা পোষণ করেছেন।
জঙ্গি কার্যক্রমে বিপথগামী তরুণদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। এর মধ্য দিয়ে যারা প্রকৃত মুসলমান তাদের বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। মুসলমানদের বিশ্বের মানুষ ঘৃণার চোখে দেখে। আমরা অন্যের কাছে ছোট হয়ে যাই।[ads1]
কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরো বলেন, খুনীদের যে শাস্তি-তাদেরও সে শাস্তি হবে। ইহকালে ধরা পড়লেও শাস্তি পাবে। পরকালেও শাস্তি পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আল্লাহু আকবার বলে রোযার মাসে তারাবীহের নামাজের সময় মানুষ হত্যা করে, তারা বেহেশতে নয়; দোযখে যাবে। এমন শাস্তি পাবে (পরকালে), নিশ্চয়ই তারা উপলব্ধি করতে পারছে।
জঙ্গিবাদ দমনে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এবং সাড়া পাচ্ছেন বলেও তিনি জানান। এ সময় সন্তানদের ওপর নজর রাখতে অভিভাবকদের অনুরোধ করেন। শিক্ষকদের আহ্বান জানান, শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা দিতে।
শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস, ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনসহ আরো বেশকিছু দিবসভিত্তিক কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।