[ads1]গুলশানের রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলায় সন্দেহের তীর জামায়াতের দিকে দাবি করে অবিলম্বে সরকারের কাছে সংগঠনটি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ। একই সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের দোসর পাকিস্তান দূতাবাসের প্রতি নজরদারি বাড়ানোরও আহবান জানিয়েছেন তিনি। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে বিলম্ব করলে সরকারের জন্য বিষয়টি বুমেরাং হবে দাবি ক রে মাওলানা মাসউদ বলেন, ‘জামায়াতের সন্ত্রাসীরাই এ হামলা চালাতে পারে। জঙ্গিবাদবিরোধী লক্ষাধিক আলেমের স্বাক্ষর গ্রহণের সময়ও তারা বাধা দিয়েছিল।
এরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার শত্রু।’ রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর শনিবার (০২ জুলাই) খিলগাঁওর ইকরা বাংলাদেশ কমপ্লেক্স মসজিদে ইতেকাফরত আলেমদের উদ্দেশে আলোচনায় বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নিন্দা করার মতো আমাদের ভাষা নেই। আমরা এক লক্ষ্য উলামায়ে কেরাম জঙ্গিবাদি এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। সাহাবায়ে কেরাম জিহাদ করেছেন বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য, আজকাল এরা জিহাদের নামে ফেতনা সৃষ্টি করছে।’ তিনি বলেন, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার বলে এ রকম অন্যায় হত্যা ইসলাম কখনওই সমর্থন করে না। নৃশংস হত্যায় আল্লাহর নাম ব্যবহার করা আরও জঘন্য অপরাধ।’[ads2]
যারা আল্লাহু আকবার বলে হামলা সংঘটিত করেছে তারা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নামকে চরম অবমাননা করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এসব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে হবে।’ সারা দেশের আলেম-উলামাদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘হামলাকারীরা বলছে, তারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু ইসলাম কি বলে তারাবির নামাজ বাদ দিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা কর?’ ‘সন্ত্রাসীরা রমজানের পবিত্রতা লঙ্ঘন করেছে। বিদেশিরা আমাদের মেহমান, তাদের এভাবে হত্যা করা ন্যাক্কারজনক। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই’, বলেন আল্লামা মাসঊদ।