[ads1]প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জনপ্রশাসন পদক-২০১৬’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।
দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু চাকরির স্বার্থে চাকরি করবেন না। মনে রাখবেন- জনগণের সেবা করাই আমাদের প্রকৃত দায়িত্ব। কারণ বেতন-ভাতা যা কিছু আসে, এই গরীব কৃষকের শ্রম থেকেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহীদ এ দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশটাকে একটা মর্যাদাপূর্ণ জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমরা যেমন মানুষের সেবক, তেমন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরও মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে।
[ads1]দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এই উন্নয়ন কাজে প্রশাসনের প্রত্যেকের কাছে সহযোগিতা পেয়েছি। আপনারা প্রত্যেকে আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন বলেই সরকার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।
তিনি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আপনারা স্ব স্ব পদে যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন বলেই দেশের এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের সময়ের নেতিবাচক স্মৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে রাষ্ট্রপতি হলে, নিজের ব্যক্তি স্বার্থ সিদ্ধির কাজ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করাই লক্ষ্য ছিল। এমন ভাগ্যও বাংলাদেশের বরণ করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া আমাদের আগের সরকারের আমলে নানা জঙ্গি তৎপরতা বাংলাদেশে হয়েছে। এমপি হত্যা, সারাদেশে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করা হয়েছে। তখন দলীয়করণ, দুর্নীতি-দুঃশাসন ছিল। কখন কার চাকরি যায়, কি হয় একটা আতংক ছিল সবার মাঝে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকার গঠন করে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেছি, তেমনি প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর কাজ করেছি। আর ব্যাপক পদোন্নতি দিয়েছি। দেশের ইতিহাসে এতো পদোন্নতি আগে কখনও হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা চাই সরকারের নেয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন হোক। কারণ আমরা ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসি। এজন্য হাতে নেয়া কাজগুলো যাতে হয়, সেজন্য তাগাদা থাকে। না হয় অন্য সরকার এসে এগুলো বন্ধ করে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকুরিজীবীদের ১৮৪ ভাগ বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছি। কারণ সবারই সম্মানজনক জীবন-যাপন করার আশা থাকে, যেন স্বচ্ছলভাবে চলা ও বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখতে পারে। আমাদের কাজগুলো এগিয়ে নিতে যেন উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মকর্তাদের হাতে জনপ্রশাসন পদক তুলে দেন। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জনপ্রশাসন পদক পাচ্ছেন ৩০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।[ads2]