অনলাইনে ভোটারদের তথ্য সংশোধনের লক্ষ্যে প্রস্তুতকৃত সফটওয়্যারের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সোমবার কমিশন সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করলে কমিশন এর অনুমোদন দেয়। চলতি সপ্তাহের যেকোন দিন আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, অনলাইনে ভোটারদের তথ্য সংশোধনের জন্য তৈরি করা সফটওয়্যারের অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হয়েছিল। কমিশন সেটি অনুমোদন দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে সাংবাদিকদের উপস্থিতে এটা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
এরআগে রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে স্মার্ট কার্ডের ব্যাপারে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ থেকে আমরা নাগরিকদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেয়ার কাজটি শুরু করবো। কার্ড দেয়ার আগে সবাই অনলাইন ও অফলাইনে ভোটার তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এরমাধ্যমে ভোটাররা ছবিসহ ফরমপূরণের সময় যেসব তথ্য প্রদান করেছেন সেগুলোও দেখতে পারবেন এবং সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, যেসব এলাকায় অনলাইন সুবিধা নেই তারা লিখিত আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য কাউকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। তাদের আবেদনের সময় দিনক্ষণ জানিয়ে দেয়া হবে। পরে তারা এসে সংশোধন করতে পারবেন।
সালেহ উদ্দিন বলেন, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবস্থা চালু করা, অধিকতর দক্ষ ও স্বচ্ছ সেবা প্রদানে কাজ করা।
তিনি আরো বলেন, অধিকতর নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করার জন্য আটটি ইন্টারন্যাশনাল সার্টিফিকেশন ও স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তিন স্তরে মোট ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট সন্নিবেশিত আছে। আমরা এখন যে পরিচয়পত্র দিয়েছি সেটি জাল করার প্রবণতা দেখা গেছে। কিন্তু স্মার্ট কার্ডের ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব হবে না। স্মার্ট কার্ডের মধ্যে যে মাইক্রোচিপ দেয়া আছে তার মধ্যে একজন নাগরিকের সব তথ্য থাকবে।
এরআগে গত বুধবার বিকেলে আগারগাঁও জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ কার্যালয়ে স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের জন্য ফরাসি কোম্পানি অবারথু টেকনোলজির (oberthur technology) সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কোম্পানিটি ৯ কোটি স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণ করবে। ৭৯৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা মূল্যের এই চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। জুনের মধ্যেই ৯ কোটি ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে চায় ইসি।
Prev Post
Next Post