‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ কর্মসূচি বাস্তায়ন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। মানব পতাকার পর এটি হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য জাতীয় সংগীতের আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় প্যারেড মাঠের ফটক খুলে দেয়ার আগেই নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে পায়ে হেঁটে বাইরে জড়ো হতে থাকে নানা বয়সী নারী, পুরুষ, কিশোর।
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, পোশাক ও পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতের কর্মীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ প্যারেড মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলাতে।
২০১৩ সালের ৬ মে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনেজ বুকে স্থান করে নিয়েছিল ভারতের সাহারা পরিবারের উদ্যোগে আয়োজিত ঐ অনুষ্ঠানে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ জন অংশ নিয়েছিলেন।
সেখানে প্রত্যেককে একটি করে ক্যাপ ও ব্যাগ দেয়া হচ্ছে। এই ব্যাগে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও নিয়মাবলী লেখা সংবলিত একটি কার্ড, পানি, জুস, স্যালাইনসহ তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ওষুধ রয়েছে।
বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কণ্ঠ মেলাবেন জাতীয় সংগীতে। এ সময় থাকবেন সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।
মূল পর্বের আগে সকাল ৮টা থেকে শিল্পকলা একাডেমীর পরিবেশনায় দেশবরেণ্য এবং খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে মাঠে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।