জাতীয় সংগীতে বিশ্ব রেকর্ড, এখনো নাম ওঠেনি গিনিস বুকে

0

Gines২৬ মার্চ ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠান। আড়াই লাখের ওপর মানুষ সমস্বরে এই জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। তবে এখনো পর্যন্ত তালিকাভুক্তির ব্যাপারে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা আসেনি। এর ফলে অনেকের মধ্যে অপেক্ষা আর উৎকণ্ঠা কাজ করছে।

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের নাম তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু রেকর্ড বুকে তালিকাভুক্ত হতে আরো কয়েকমাস সময় লেগে যাবে বলে জানা যায়।

নিয়ম অনুযায়ী গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে রেকর্ড হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করতে হয়। সেক্ষেত্রে গিনেস বুক আবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখে। সর্বশেষ তালিকাভুক্ত রেকর্ড এবং আবেদন করা রেকর্ডের মধ্যে তুলনা করে দেখতে ৬ সপ্তাহ লেগে যায়। এছাড়া আগের রেকর্ডের সাথে তুলনামূলক মূল্যায়ন করে দেখার পর নতুন রেকর্ড হিসেবে তালিকাভুক্ত করতেও আরো ১২ সপ্তাহ সময় লাগে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২৬ মার্চ গিনেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিধি অনুযায়ী বিশ্ব রেকর্ডভুক্ত হয়ে নিজের নাম লিখতে বাংলাদেশকে আরো অন্তত সাড়ে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে।

২৬ মার্চ বুধবার বেলা ১১ টায় ২০ মিনিটে ২ লাখ ৫৫ হাজার নাগরিক বাংলাদেশি একসাথে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে জাতীয় সংগীত গেয়ে এই রেকর্ড সৃষ্টি করেন। আয়োজনে বিদেশিদের বাংলার পাশাপাশি ইংরেজির ব্যবস্থা রাখা হয়। এর ফলে ভারতের ১ লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত গাওয়ার রেকর্ড ভাঙলো বাংলাদেশ।

এছাড়া বাইরে আরো দেড় লাখেরও বেশি মানুষের সুশৃঙ্খলভাবে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন। বিশ্বে এর আগে এত মানুষ নিজেদের জাতীয় সংগীত গেয়ে কোনো রেকর্ড গড়তে পারেনি।

নিজেরাই গিনেস রেকর্ডের ওয়েব পেজে দেখুন 

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More