আহমদ আবদুল কাদের—গত শতকের ৯০ সালের গোড়ার দিকে যুক্ত হন খেলাফত মজলিসে। বর্তমানে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব। ১৯৮২ সালে ছিলেন ছাত্র শিবিরের সভাপতি। রাজনৈতিক দর্শন দিয়ে ইতোমধ্যে নিজকে দলে নির্ভরযোগ্য ও প্রভাবশালী হিসেবে পোক্ত করেছেন।১৯৮২ সালে ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা নিয়ে। সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে একান্ত আলাপে উঠে এসেছে রাজনীতির নানা প্রসঙ্গ।
বাংলা ট্রিবিউন: আপনি এক সময় ছাত্র শিবির করতেন, জামায়াতের রাজনীতিতে যোগ না দিয়ে সরে এলেন কেন?
আহমদ আবদুল কাদের: ১৯৮২ সালে আমি ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলাম। তখন শিবিরের আদর্শ ছিল, শিবির কোনও দলের পক্ষে অবস্থান নেবে না। শিবির স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রদের নিয়ে কাজ করবে। আমি সভাপতি হওয়ার পর জামায়াতের পক্ষ থেকে চাপ এলো, শিবিরকে জামায়াতের পক্ষে কাজ করতে হবে। এক সময় শিবির মানেই ছিল ভালো ছাত্রদের সংগঠন। অভিভাবকরাও চাইতেন, তাদের ছেলে শিবিরের করুক। শিবির জামায়াতের কর্মসূচিতে যোগ দিত না। কিন্তু জামায়াত চাইল শিবির জামায়াতের হয়ে কাজ করুক। আমরা প্রকাশ্যে মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করার দাবি জানালে তারা (জামায়াত) তা করেনি।
আরেকটা ইস্যু ছিল, আমরা বলেছিলাম, ৭১ সালের জামায়াতের ভূমিকা ঠিক ছিল না। এসব বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত, রিভিউ করা উচিত। রিভিউ করার জন্য কিছু তথ্য সংগ্রহ করা দরকার । তখন রিভিউ ব্যবস্থা করার জন্য শিবির থেকে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে আমি সদস্য ছিলাম।এ উদ্যোগ নেওয়ার পর জামায়াতের মনোভাব বোঝা গেল। জামায়াত ৭১-এর ভূমিকা নিয়ে রিভিউ করা হবে এটা খুব সিরিয়াসলি নিল।আমি শত্রু হয়ে গেলাম, তখন জামায়াত আমাকে সরানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠল। এরপর আমরা যারা রিভিউয়ের পক্ষে ছিলাম, তারা সরে আসি শিবির থেকে।
বাংলা ট্রিবিউন: জামায়াতের ৭১-এর ভূমিকা নিয়ে রিভিউ বলতে মূলত আপনারা কী চেয়েছিলেন?
আহমদ আবদুল কাদের: রিভিউ বলতে কয়কটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা। প্রায় ২০/২৫ টি প্রশ্ন ছিল আমাদের। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জামায়াতের অবস্থানের সিদ্ধান্ত জামায়াতের ফোরামে হয়নি।আমারা প্রশ্ন করেছিলাম, এ সিদ্ধান্ত কোথায় হয়েছে? কার সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।২৬ মার্চ পর্যন্ত জামায়াত শেখ মুজিবকে ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তাহলে এটা চাওয়া কিভাবে ঘুরে গেল? তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান জামায়াতের নায়েবে আমির ছিলেন মাওলানা আব্দুর রহিম, তার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল। উনি আমাকে বলেছেন, মার্চের আগে মূল জামায়তের শূরা সদস্যদের মিটিং হয়। তখন কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতারা বলেছেন, দেশ এক থাকবে না, কারণ ভুট্টো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না। তখন কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতারা বলেছেন, আমরা পশ্চিম পাকিস্তানে আছি। আমাদের এখানেই থাকতে হবে। আপনারা পূর্ব পাকিস্তানে থাকবেন, আপাদের সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে। তখন জামায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও ভাগ হয়ে যায়। আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম, আপনারা ৭১ সালের এপ্রিলে যে বিবৃতি দিলেন, কোন সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দিলেন? আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম আপনারা আলবদর বাহিনী গঠন করলেন, এটা কোথায় করলেন, কে এই সিদ্ধান্ত নিলেন? এসব জামায়াত পছন্দ করেনি। জামায়াত ভুল করেছে। জামায়াত নাম-ই থাকা উচিত ছিল না। গোলাম আযম বুঝতে পারেননি এ অবস্থা হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: শোনা যাচ্ছে আপনার ২০ দলীয় জোট ছাড়ছেন?
আহমদ আবদুল কাদের: স্থায়ী কোনও জোট কার্যত হয় না। জোট হয় কোনও ইস্যু বা নির্বাচনকেন্দ্রিক সাময়িকভাবে। আমাদের দেশে ২০০১ সালে স্থায়ী জোট হয়ে গেছে। যদিও স্থায়ী জোটের প্রয়োজন হয় না। বিএনপি এখন জোটে সক্রিয় না, তারা এখন নিজেদের দল নিয়ে ব্যস্ত। বিএনপি নিয়ে ক্ষোভ জোটের অনেকের মধ্যে আছে। তারপরও আমরা বৃহ্ৎ ঐক্যের জন্য জোটে আছি, থাকব।
বাংলা ট্রিবিউন: ক্ষোভের কথা বলছেন, কিন্তু কেন এ ক্ষোভ?
আহমদ আবদুল কাদের: বিএনপির ভেতরেও বিভিন্ন মানসিকতার লোক আছে, তাদের মধ্যে কেউ-কেউ ইসলামি দলগুলোকে পছন্দ করেন না, অনীহা দেখান। আবার কেউ-কেউ মনে করেন, জোটে ইসলামি দল থাকা ভালো। ফলে সব মিলিয়ে সুষম আচরণ বিএনপি থেকে পাওয়া যায় না। মিটিং হয় না, ফোন করেও তাদের পাওয়া যায় না। বিশেষ করে ক্ষোভ তৈরি হয় নির্বাচনের সময়। সিটি করপোরশেনের নির্বাচনের সময় বলা হলো, সমন্বয় করা হবে, কার্যত হয়নি। দলকে যেভাবে মোকাবেলা করা যায় জোটকে করা যায় না। যেহেতু স্থায়ী জোট হয়েছে, ফলে অনেকের কাছে অবহেলা মনে হয়। বিএনপি হয়ত তাদের দল নিয়ে ব্যস্ত, তারা জোটের শরিকদের বলছেন, জোটের মিটিং ঢাকা দরকার, কিন্তু মিটিং হচ্ছে না। এ নিয়ে মতপার্থক্য হয়। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তার আগেও নানা আভাস-ইঙ্গিত ছিল সবাই মিলে সরকার গঠন করবে। কিন্তু বিএনপি শুধু জামায়াতে ইসলামিকে নিয়ে সরকার গঠন করে। ক্ষোভ তৈরি হওয়া মানে এই নয় জোট ভেঙে যাচ্ছে।
বাংলা ট্রিবিউন: সম্প্রতি ইসলামী ঐক্যজোট তো ২০ দলীয় জোট ছাড়ল, আলাদা করে ধর্মভিত্তিক দলের ঐক্যের আহবান করছে, আপনারা তাদের ঐক্যে শরিক হবেন?
আহমদ আবদুল কাদের: ইসলামী ঐক্যজোট তো ক্ষোভের কারণে ২০ দলীয় জোট ছাড়েনি। তারা সরকারের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে। আমি তাদের সব কাহিনি জানি। ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান লতিফ নেজামী জোট ছাড়তে চাননি। যদিও তিনি শেষ পর্যন্ত জোট ছাড়লেন। এতে ২০ দলীয় জোটের কোনও ক্ষতি হবে না। তারা জোটের কথা বলছেন, আসলে কিছুই হবে না। তারা এসব বলছেন আত্মরক্ষার জন্য। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন—এ প্রশ্ন ঠেকাতে তারা এসব ঐক্যের কথা বলছেন।
বাংলা ট্রিবিউন: বিএনপি জোটে থাকার কারণ কী?
আহমদ আবদুল কাদের: আমারা চার দলীয় জোটের শুরু থেকেই আছি। তখন ইসলামী ঐক্যজোট ভুক্ত হয়ে খেলাফত মজলিস জোটভুক্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে যখন ইসলামী ঐক্যজোট দল হিসেবে নিবন্ধন নেয়, তখন খেলফত মজলিসও আলাদা দল হিসেবে জোটের শরিক হয়। মূলত আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করলে দেশেরে মানুষ ভালো থাকবে না, আলেমদের ওপর নির্যাতন হয়। এ জন্য তাদের নির্বাচনে প্রতিহত করতে বিএনপি জোটে শরিক হওয়া। এখন আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, এখন জোট ভাঙার প্রশ্নই আসে না। এখন জোট ভাঙা মানে যাকে ঠেকাতে জোট, তার পক্ষে অর্থাৎ সরকারের পক্ষে যাওয়া।
বাংলা ট্রিবিউন: ধর্মভিত্তিক দলগুলো ঐক্যের কথা বলে, কিন্তু বরাবরই এসব দলে ঐক্যের চেয়ে ভাঙন বেশি। এর কারণ কী বলে মনে করেন?
আহমদ আবদুল কাদের: সব ধরনের দল-ই ভাঙে। তবে আর্দশিক দলগুলো বেশি ভাঙে। শুধু ইসলামি দল নয়, বামপন্থী দলগুলোও বেশি ভাঙে। বিভিন্ন সময়ে ভাঙতে ভাঙতে দেশে এখন অসংখ্য বামদল। সব দেশেই দেখা গেছে, আদর্শিক দলগুলো ভাঙছে। এসব দলের নেতারা মনে করেন, কোনও সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা মানে তিনি নীতিচ্যুত হয়ে যাচ্ছেন। ইসলামি দলগুলোর মূল লক্ষ্য খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। এই খেলাফত প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। আর এই পদ্ধতি নিয়ে আর্দশিক মত পার্থক্য থেকে ভাঙে।আর অন্য দলগুলোর মুখ্য বিষয় ক্ষমতায় যাওয়া, নীতির পরির্বতন হলেও তাদের কোনও সমস্যা হয় না।
আরকটি বিষয় দল যত বড়, দল ভাঙে কম। কারণ বড় দলগুলোয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তি হয়। এছাড়া, নেতাকর্মীরা দলীয় পরিচয় নিয়ে থাকতে চান। ফলে বড়দল ভাঙলেও খুব বেশি প্রভাব পড়ে না। অন্যদিকে ইসলামি দল, বাম দলগুলো ছোট আকারের। তাই ভাঙলে প্রভাব পড়ে।
বাংলা ট্রিবিউন: জঙ্গিবাদ এখন বিশ্ব জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রেবিন্দুতে।দেশে ধর্মের নামে জঙ্গিবাদের যে উত্থান ঘটছে, এটা ধর্মভিত্তিক রাজনীতির জন্য কি হুমকি হবে?
আহমদ আবদুল কাদের: সন্ত্রাসের জন্ম বামপন্থীরা প্রথম দিয়েছে। বিগত একশ বছরের সন্ত্রাসের ইতিহাস বামদের দখলে ছিল। ভয় দেখিয়ে শাসন করতে হবে, নির্বিচারে মানুষ মেরে ফেলা হতো। বামদের এক গ্রুপ গড়ে উঠল নৈরাজ্যবাদী রূপে। সর্বশেষ ইসলামপন্থীদের কিছু ব্যক্তি ইসলামের নামে আল কায়দা গড়ে তোলে। তারা ইসলামের জন্য ক্ষতিকর। সারাবিশ্বে মূলধারার যারা ইসলামি রাজনীতি করেন, তারা এই জঙ্গিদের সমর্থন করেন না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এই সুযোগ ব্যবহার করছে তারা, যারা আমাদের শত্রু। যখন ইসরাইয়েল-আমেরিকা দেখল এ বিষয়ের মাধ্যমে শত্রুদের ঘায়েল করা যাবে, তখন তারা অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে। আমাদের দেশে যারা করছেন, তারা টাকা কোথায় পান? অস্ত্র কে দেন? এখানে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য জড়িত। কূট-কৌশলে ধর্মের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের দেশে আলেমরা এসবের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এ বিষয়ে সবাইকে সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। আর সরকারকেও ভিন্ন মতকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। সরকারকে অপবাদ দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: জঙ্গিবাদ রোধে সরকার খুতবা নিয়ন্ত্রণ, মসজিদ কমিটি অনুসন্ধান, ওয়াজ মাহফিল পরর্যবেক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, অনেকেই বিরোধিতা করছেন এসব সিদ্ধান্তের, আপনাদের অবস্থান কী?
আহমদ আবদুল কাদের: আমরাও সরকারের এসব সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করি। এসবের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ দূর হবে না। এর মাধ্যমে সবস্থানে আওয়ামী সমাজের সর্বস্তরে তাদের বিরোধীদের দমন করার চেষ্টা করছে। সরকার খুতবা নিয়ন্ত্রণের অধিকার রাখে না, খুতবা নিয়ন্ত্রণ হবে ধর্মের মাধ্যমে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সরকারের পারফাস সার্ভ করছে। ইসলামে বলা আছে, জালেম শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলতে। এখন কোনও ইমাম মসজিদে এ কথা বললে, সরকার ভাববে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে।
বাংলা ট্রিবিউন: লাখো আলেমের ফতোয়া কার্যক্রম শুরু হয়েছে, এটা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কতটা প্রভাব ফেলবে?
আহমদ আবদুল কাদের: এ কার্যক্রম শুরু করেছেন ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, তিনি আওয়ামী ঘরানার। কোনও নিরপেক্ষ আলেম এ কাজ করলে ভালো হতো। ফরীদ উদ্দীন মাসউদের ভূমিকা আওয়ামী লীগের স্বার্থে, ধর্মের স্বার্থে নয়। তারপরও এটার কিছু সুফল আসবে, তবে ধর্মীয় আবেদন কম হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: সম্প্রতি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠছে,এটা কিভাবে মোকাবেলা করবেন?
আহমদ আবদুল কাদের: জনগণ কি আসলেই চায় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক, নাকি কোনও গোষ্ঠীর চাওয়া? কোনও ব্যক্তির চাওয়া জনদাবি হবে পারে না। বাম মতবাদে বিশ্বাসীরা এ দাবি করছেন। আমাদের দেশে বামপন্থী যারা নষ্ট হয়ে গেছেন, তারা জিদ মেটাতে ইসলামের ওপর অপবাদ দিচ্ছেন। বামপন্থীরা আদর্শগতভাবে মনে করেন, ইসলাম তাদের শত্রু। বামপন্থীরা বাংলাদেশে সফল না হওয়ারও মূল কারণ তাদের এ ইসলামবিরোধী মনোভাব।
বাংলা ট্রিবিউন: ওয়াজ মাহফিল আর ধর্মভিত্তিক দলের সমাবেশের মধ্যে পার্থক্য নেই।বরাবরই ধর্মীয় ইস্যু ছাড়া জাতীয় ইস্যুতে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর কর্মসূচি কম, সেটা কেন?
আহমদ আবদুল কাদের: এটার সঙ্গে আমিও একমত। আমাদের ধর্মীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট বুঝতে হবে।আমাদের দেশে আলেম যারা আছেন, মাদ্রাসা শিক্ষিত যারা আছেন, তারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত রাজনীতিকে হারাম বলতেন। তারা প্রচলিত রাজনীতিকে দুনিয়াদারি কাজ মনে করতেন। ধীরে ধীরে তারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। যখন আমাদের কমিউনিতে কোনও সমস্যা হয়, তখন প্রতিবাদ আসে, আওয়াজ ওঠে, প্রেসার তৈরি করি। কিন্তু ধর্মীয় ইস্যুর বাইরে বড় আকারে বের হতে পারছি না। ফলে আমাদের আশা অনুযায়ী প্রতিফলন ঘটছে না। তবে যদি জনকল্যাণ ও দেশের জন্য রাজনীতি করতেই হয়, তাহলে এপ্রোচ বদলাতে হবে। মূল ধারার রাজনীতি করতে হবে।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন