[ads1]ঝিনাইদহে হিন্দু পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে নিহত আনন্দ গোপালের ছেলে অরুণ কুমার গাঙ্গুলি বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মহিষাভাগাড় নামক স্থানে পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলি নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) রাজেশ ওয়াইক ও (কনস্যুলার) রমাকান্ত গুপ্তা। এরপর বেলা ১১টার দিকে তারা নিহতের বাড়ি করাতিপাড়া গ্রামে যান। তারা নিহতের স্ত্রী শেফালী রানী, ছেলে দিনবন্ধু অধিকারীসহ অন্যদের সান্ত¡না দেন এবং তারা যাতে এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার পায় সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করবেন বলে জানান। এ সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ও জেলার সাধারণ সম্পাদক বাবু কণক কান্তি দাস, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, এ হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় নিহতের ছেলে অরুণ কুমার গাঙ্গুলি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তবে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি আরো জানান, এ ঘটনার বিষয়ে পুলিশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে নলডাঙ্গা শ্রীশ্রী স্বিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত আনন্দ গোপাল নিজ গ্রাম কোরতিপাড়া থেকে বাইসাইকেলযোগে মন্দিরে যাওয়ার পথে ৩ যুবক তার গতি রোধ করে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। পরে জঙ্গী সংগঠন আইএস এ হত্যার দায় স্বীকার করে।[ads2]