বিশ্বজুড়ে দুর্নীতি বিরোধী ও মানবাধিকার সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেনপ্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সম্প্রতি পানামা পেপার্স সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে সংস্থাটির চিলিশাখা প্রধানের পদত্যাগের প্রেক্ষিতে দেয়া একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন টিআইবি তাদের সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করে এটাপ্রমাণ করুক যে তারা তাদের চিলি শাখার মতই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়।
আজ বুধবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেন, একটা বিষয় আমি উত্থাপন করতে চাই, সেটা হলো সম্প্রতি চিলির ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধানের পদত্যাগ। বিদেশে সম্পদ লুকানোর বিষয়ে তার নাম এসেছিলো পানামা পেপার্সে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কতটা স্বচ্ছ এবং অন্যদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলার অধিকার তাদের কীভাবে থাকে? সর্বোপরি, আমাদের দেশে সব সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের সম্পদের বিবরণ দিতে হয়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নিজেদেরটা দেয় না, তথাপিও তারা তাদের দুর্নীতির পর্যবেক্ষক বলে দাবী করে। আমরা কী করে জানি যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সদস্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, তাদের কোন লুকানো সম্পদ নেই এবং তারা তাদের সব ট্যাক্স পরিশোধ করেছে?
তাদের যদি সাহস থাকে, তবে অন্যের দুর্নীতির বিষয়ে মন্তব্য করার আগে তাদের স্বেচ্ছায় নিজেদের সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করা উচিৎ। আমার সন্দেহ আছে যে তাদের সেই সাহস রয়েছে কিনা, তাই মনে হয় একটি আইন থাকা প্রয়োজন। যে কেউ দুর্নীতির বিষয়ে পর্যবেক্ষক হতে চাইবে তাদের নিজেদের সম্পদের বিবরণ দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করে নিতে হবে, ঠিক যেমন এমপিদের করতে হয়।