ঢাকা: ইরান সরকারের আর্থিক সংকটের ধাক্কায় ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি কার্লোস কুইরোজের ছাত্ররা। ইউরোপে খেলারও অভিজ্ঞতাতেও বেশ পিছিয়ে রেজা গোচানেজাত-নেকুনাম দেজাগরা। তাছাড়া শারীরিক শক্তিতেও নাইজেরিয়ার থেকে বেশ পিছিয়ে ইরানি ফুটবলাররা। কিন্তু মানসিক শক্তিতে তারা একশ’য়ে একশ। তাই নাইজেরিয়ার মতো ফুটবল শক্তিকে থামিয়ে দিতে পেরেছে এশিয়ার দেশটি। সোমবার কুরিতিবার অ্যারেনা ডি বক্সাইডায় গোল শূন্য ড্র করেছে দল দুটি। যা একটি রেকর্ড। কেননা এটি ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রথম ড্র।
বিশ্বকাপে ইরানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এশিয়ার দেশটির ফুটবল দলের কোচ কার্লোস কুইরোজকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় ছিল নাইজেরিয়ান ম্যানেজার স্টিফেন কেশির। শেষ পর্যন্ত কেশির ওই ভয়টাই বাস্তবে রূপ নিল। মোজাম্বিক বংশোদ্ভূত পর্তুগিজ ম্যানেজারের মগজাস্ত্রের কাছেই এদিন হার মেনেছে গেল বছর আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ী নাইজেরিয়া। ২০১৪ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ইরানের বিপক্ষে ড্র করেছে আফ্রিকার ঈগলরা। যা এই বিশ্বকাপের একটি রেকর্ড। তবে নাইজেরিয়ার জন্য সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হলো ফলহীন ম্যাচে গোলের দেখা পায়নি তারা।
অথচ বাগানের শহর কুরিতিবার নাইজেরিয়া কিংবা ইরান দুই দলের যে কেউই জয় পেতে পারত। আক্রমণ ও প্রতিআক্রমণের পসরা সাজানো ম্যাচটিতে গোলমুখে প্রথম পরিষ্কার সুযোগ পায় ইরান। প্রথমার্ধের খেলার ৩৬ মিনিটে রেজা গোচানেজাত সতীর্থ আকান দেজাগের নিকট থেকে বল পেয়ে নাইজেরিয়ার প্রতিপক্ষের গোলবারে শক্ত একটি হেডার নিয়েছিলেন। প্রথম দফায় তা মিস করে বসেন নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক এনিয়েমা। তবে দলটির ডিফেন্ডার ওবোয়াবোনা তা ক্লিয়ার করলে গোল পাওয়া হয়নি ইরানের। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল নাইজেরিয়াও। ইরানের জালেও বল জড়িয়েছিল তারা। কিন্তু রেফারি সেই গোলটি বাতিল করে।