প্রখ্যাত নওমুসলিম ড. বিলাল ফিলিপসকে একটি বিশেষ বিমানে করে ১৮ জুন সকাল বারোটায় বাংলাদেশ থেকে কাতারে ফেরত পাঠিয়েছে সরকার। ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকটি স্থানে তরুণদের দাওয়াত দিতে এসেছিলেন ড. বিলাল ফিলিপস। তাকে বাংলাদেশে এনে তরুণদেরকে দাওয়াত দেওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সিয়ান পাবলিকেশন্স নামের একটি ইসলামী সংগঠন।
ড. বিলাল ফিলিপস নির্ধারিত সময়ের তিনদিন আগেই ১৭ জুন রাত সাড়ে এগারটায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছেন। ঢাকায় পৌঁছে তিনি গুলশানের একটি রেস্ট হাউসে অবস্থান নিয়েছিলেন। কর্তারা বলছেন, তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দিলেও ভিসা জটিলতার কারণে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যে কোন রকমের অনুষ্ঠানেই অংশ নিতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পরবর্তীতে সরকার বাংলাদেশে ঢুকার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে ফেরত পাঠিয়েছে।
তরুণদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার জন্য ড. বিলাল ফিলিপসকে বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছিল সিয়ান একাডেমি নামের একটি ইসলামী সংগঠন।
এভাবে দাওয়াত দিয়ে একজন ইসলামি চিন্তাবিদকে অনুষ্টান না করতে দেওয়ায় আয়োজকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশে ভারতীয় নর্তক-নর্তকীরা অবাধে অনুষ্টান করতে পারলেও ৯০ ভাগ মুসলমানদের এই দেশে ইসলামি অনুষ্টান করতে দেয়া হচ্ছে না। ধারনা করা হচ্ছে দেশ থেকে ইসলাম বিতাড়নের অ ংশ হিসেবেই মধ্যপ্রাচ্য এর মুসলিম বিদ্বেষী একটি দেশ ও প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দাদের যৌথ প্রকল্পেই সরকার বাস্তবায়ন করছে।
এর আগে বিদেশী অর্থে পরচালিত কয়েকটি মিডিয়ায় ড ফিলিসকে জজ্ঞিবাদের মদতদাতা হিসেবে প্রচার করা হয়