ঢাকার চারপাশের চারটি নদী (বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ) দূষণমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। ৬টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের উপস্থিতিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের চারটি নদীকে দূষণমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এজন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পের জন্য আগে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগবে।
শাজাহান খান বলেন, নদীদূষণ রোধে বিভিন্ন শিল্পকারখানাকে, যাদের তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) আছে, তা চালু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাদের ইটিপি নেই, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে তা স্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। ইটিপি চালু না করা হলে শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ট্যানারি শিল্পকারখানার বর্জ্যের কারণে নদীর পানি সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ দূষিত হয়। তাই ট্যানারি শিল্পকারখানা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাভারে স্থানান্তরের জন্য শিল্পমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি এ বিষয়ে এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক।