ঢাকার কেরানীগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মো. আবদুল্লাহর হত্যা মামলা তিন থেকে চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
বুধবার সকালে রোহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামে আবদুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে ওই শিশুর বাবা-মা ও স্বজনদের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দেন তিনি।
সকাল থেকে ঘটনার মূল হোতা হিসেবে সন্দেহভাজন মোতাহারকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করছে এলাকাবাসী।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আবদুল্লাহর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে। তিনি আশ্বাস দেন, তিন থেকে চার মাসের মধ্যে এ মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হবে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় উপজেলার চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ঢাকার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ, কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল্লার মা রিনা বেগম ও বাবা বাদল মিয়া মন্ত্রীর কাছে ছেলে হত্যার বিচার চান এবং অবিলম্বে মোতাহারকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল আলম এই চার আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, এ হত্যাকাণ্ড নৃশংস। এ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অন্যদের গ্রেফতারের জন্য তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, শুক্রবার থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মো. আবদুল্লাহ (১১) নিখোঁজ ছিল। তাকে খুঁজতে থানা-পুলিশ হয়েছে। একপর্যায়ে মুঠোফোনে তাকে অপহরণের দাবি করে দুই দফায় দুই লাখ টাকা নেয় অপহরণকারীরা।
এরপরও শিশুটিকে ফেরত দেয়নি তারা। মঙ্গলবার আবদুল্লাহদের বাড়ির মাত্র ১০০ গজ পশ্চিমে মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা আবদুল্লাহর গলিত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকে মোতাহার পলাতক।
Next Post