চাঁদা না পেয়ে পুলিশ চা বিক্রেতা বাবুলের চায়ের দোকানের কেরোসিনের চুলায় বাড়ি মারলে কেরোসিন ছিটকে তার গায়ে আগুন ধরে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় বাবুল মৃত্যুবরণ করেন। এই ‘অমানবিক ও বর্বোরোচিত’ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশবাসী আজ আওয়ামী দুঃশাসকদের নির্মম, পৈশাচিক ও দুর্ধর্ষ সব সন্ত্রাসী তাণ্ডব দেখে আতঙ্কিত। পুলিশ এখন নিজেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। তা আরেকবার প্রমাণিত হলো চা বিক্রেতা বাবুলের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে নির্দয়ভাবে কেরোসিনের চুলার আগুন দিয়ে তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে।
ফখরুল বলেন, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন পুলিশের কর্তব্য হলেও তা অনুরসরণ করাকে তারা ঘৃণা করছে। দুষ্টকে দমন না করে বরং পুলিশই এখন চাঁদাবাজীর মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে দুষ্টদের উৎসাহিত করছে। গরীব মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের মতো অমানবিক ও নির্দয় কর্মকাণ্ড দেখে দেশবাসী এখন হতবাক ও বিস্মিত। গরীব মানুষদের কাছ থেকে পুলিশের চাঁদা আদায়ে জুলুমবাজী ও পৈশাচিক কর্মকাণ্ড দেশকে চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অবিলম্বে গরীব চা বিক্রেতা বাবুলের ওপর হামলা করে তাকে হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
Prev Post
Next Post