প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দারিদ্র্যের হার ২২ দশমিক ৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। আরেকটু কষ্ট করলে আমরা দারিদ্র্য আরও কমিয়ে আনতে পারব।
বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয়টি দফতর ও সংস্থার সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এগুলো হলো, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অফিস, বিনিয়োগ বোর্ড ও আশ্রয়ন প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্য আয়ের দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা পূরণ হওয়া আর বেশি দূরে নয়। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে সহজে সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসা করতে ক্ষমতায় আসিনি। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, এখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা আর ভিক্ষার ঝুড়ি নিয়ে ঘুরতে চাই না। স্বনির্ভর জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।
প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্য আয়ের দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, তা পূরণ হতে আর বেশি দূর নয়। সবাই একসঙ্গে কাজ করে সে লক্ষ্যে পৌঁছাব।
শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারির একটি বক্তৃতা থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিরজনক ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। জাতির স্বার্থকে সব কিছুর উর্ধ্বে স্থান দিতে হবে।
রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সুখী সম্মৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।