দেশে মোট বেকারের সংখ্যা সংক্রান্ত কোন তথ্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে নেই বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তবে ২০১৩ সালে বিবিএসর জরিপে দেশে মোট বেকার সংখ্যা ২৬ লাখ বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূরীকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিপুল শ্রম শক্তির দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও কর্মমুখী শ্রম শক্তিতে পরিণত করার জন্য জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি ২০১১ অনুমোদন করেছে। এ নীতি বাস্তবায়নের জন্য সরকার দেশের সরকারি-বেসরকারি দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ মান নিশ্চিতকরণ এবং দেশ ও বিদেশের শ্রম বাজারের চাহিদা মাফিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল (এনএসডিসি) গঠন করেছে। দেশ ও বিদেশের শ্রম বাজারে বিকাশমান এবং পরিবর্তনশীল পেশাগত দক্ষতা যথাযথভাবে প্রতিফলিত করার জন্য সরকার জাতীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক যোগ্যতা কাঠামো অনুমোদন করেছে। এর আওতায় দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম চালু করেছে।
মুজিবুল হক বলেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নের বাস্তবমুখি কার্যক্রম, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং অর্থায়ন করছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে স্বল্প, মধ্যম মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স ও ডিপ্লোমা কোর্সের কারিকুলাম যুগোপযোগীকরণ, হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, ল্যাবের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, যোগ্যতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন, অ্যাসেসর তৈরি, প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ, পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি, শিক্ষানবিশী’র মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সেক্টর ভিত্তিক শিল্প দক্ষতা পরিষদ গঠনসহ দক্ষতা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘নর্দান অ্যারিয়াস রিডাকশন অব পভার্টি ইনিশিয়েটিভ (এনএআরআই)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩টি ‘ইপিজেডে’ ডরমিটরি কাম ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামী ৩ বছরের মধ্যে উত্তরবঙ্গের ১০ হাজার ৮০০ জন দরিদ্র মহিলাকে পোশাক শিল্প সেক্টরে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে।
Next Post