হত্যাকারীদের ধরিয়ে দিলেই লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলে ঘোষণ দিয়েছেন সিলেটের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান। জেলার বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রাম থেকে অপহরণর হওয়া ৪ শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের হত্যার শিকার হওয়া চার শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের হত্যাকারীদের ধরিয়ে দিতে লাখ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান।
স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বুধবার সকালে ওই উপজেলার সুন্দ্রাটিকি এলাকায় ৪ শিশুর বাড়ির পাশের একটি গর্ত থেকে মৃতদেহগুলো পুলিশ উদ্ধার করে। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে তারা অপরহণের শিকার হয়।
নিহত শিশুরা হলো বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), একই বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্র মনির মিয়া (৭), ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি মাদরাসার ছাত্র ইসমাইল মিয়া (১০)। এদের মধ্যে তিনজন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।
বাহুবল থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, মৃতদেহগুলো মাটির নিচে পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা জানান। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে সিলেটের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান পিপিএম, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্রসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সিলেটের ডিআইজি মিজানুর রহমান ঘোষণা দিয়ে বলেন, যে এই চার শিশুর হত্যাকারীদের ধরিয়ে দিতে অথবা সঠিক তথ্য দিতে পারবে তাকে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
এদিকে, নিহত মনিরের বাবা আবদাল মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, প্রায় মাস খানেক পুর্বে বড়ই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে শুক্রবার তার ছেলেসহ ওই চার শিশুকে বাচ্চু মিয়া নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যান আব্দুল হাই। টের পেয়ে তিনি ওই দিনই বিষয়টি পুলিশকে জানান। কিন্তু পুলিশ তাদের উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অবশেষে গর্ত থেকে চার শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গেলো।
এ অভিযোগ তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়ে ডিআইজি মিজানুর রহমান জানান, চার শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
Prev Post
Next Post