মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত হলেন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার মো. ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননী। এর আগে ২৬৮ পৃষ্ঠার এ রায় পড়ে শোনান সদস্য বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। আর রায়ের মূল অংশটি পড়ে শোনান চেয়ারম্যান বিচারপতি এম আনোয়ারুল হক।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষকে অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং হত্যার ৬টি অভিযোগ আনা হয় এই ২ আসামির বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ১, ২, ৩ ও ৫ নং অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ২২তম রায়।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় দেন। এর আগে ১০ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
এই রায়কে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মৎস্য ভবন গেট, প্রধান ফটক এবং মাজার গেটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল সংলগ্ন মাজার গেটে নিরাপত্তাকর্মীদের আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি এখানে একটি সাঁজোয়া যানও রাখা হয়েছে। বহিরাগত ও সন্দেহভাজনদের দেহে তল্লাশি করে তাদের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।
Prev Post