ঢাকা: বহুল আলোচিত পে-কমিশনের পর্যালোচনা রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিবেদনটি আগামী সপ্তাহের প্রথমার্ধে অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া হবে।
চূড়ান্ত করার আগে এ নিয়ে পর্যালোচনা কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের বাইরে রয়েছেন। সোমবারের আগেই তার দেশে ফেরার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান সচিব কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির দেয়া রিপোর্ট কিছুটা কাটছাট করে উপরের দিকে বেতন স্কেল সামান্য কমিয়ে নিচের দিকে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, কমিটি তাদের রিপোর্ট চূড়ান্ত করার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতামত নিয়েছেন। আগামী পহেলা জুলাই থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, পে-কমিশনের পর্যালোচনা প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়ে আছে। অর্থমন্ত্রী যদি মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত থাকেন তাহলে আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার তাঁর কাছে জমা দেয়া হবে।
মন্ত্রী বিদেশ যাওয়ার আগেও সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী ১ জুলাই থেকেই সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করা হবে।
মন্ত্রী তখন পে-কমিশনের পর্যালোচনা প্রতিবেদন দু’একদিনের মধ্যেই জমা হবে বলে উল্লেখ করেছিলেন।
সচিব কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, আমাদের কমিটি এ নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছে, কিছু কিছু বিষয়ে কমিটি একমত হয়েছে। আমরা সবকিছু ঠিক করেছি। যেকোনো সময় তা অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া হবে।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ও সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২০০ টাকা মূল বেতন নির্ধারণ করে নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় পে-কমিশন। পরে ৩১ ডিসেম্বর তা পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়।
প্রথমে কমিটিকে এক মাস সময় দেয়া হলেও এ পর্যন্ত কয়েক দফা সময় বাড়িয়েছে সচিব কমিটি।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, দুই ধাপে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করা হবে। সচিব কমিটি তাদের করা প্রস্তাবিত কাঠামোতে ঠিক কী ধরনের পরিবর্তন এনেছে সেটিই দেখার বিষয়।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সচিব কমিটি কী করেছে তা তিনি এখনও জানেন না। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে নতুন বেতন কাঠামোর বিষয়টি চূড়ান্ত করতে হবে।