ঢাকা: পার্বত্য জেলাগুলোর উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিকে ৬টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক বিভাগ পরিচালিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য জেলাগুলোর উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে পার্বত্য জেলাগুলোর উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পার্বত্য জেলাগুলোর উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৬টি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবিত বাকি প্রকল্পগুলো পর্যায়ক্রমে গৃহীত হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গৃহীত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- রুমা-বগালেক-কেওক্রাডং সড়ক উন্নয়ন;
মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়ক নির্মাণ; খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বিদ্যমান জরাজীর্ণ সেতুগুলোর স্থলে ৩৪টি পিসি গার্ডার সেতু; ৯টি আরসিসি সেতু এবং ১৩টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প; কেরানীর হাট-বান্দরবান জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ; বান্দরবান-চিম্বুক জেলা সড়ক উন্নয়ন এবং বারৈয়ার হাট-করের হাট-হিয়াকো-রামগড় স্থলবন্দর সংযোগ সড়ক নির্মাণ।
এছাড়া রাঙ্গামাটির নানিয়ার চর ও তবলছড়িতে দু’টি এবং বান্দরবানের স্বর্ণমন্দিরে একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, সওজর প্রধান প্রকৌশলী এম ফিরোজ ইকবাল, ৩টি পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) পরিষদের প্রশাসকত্রয়সহ সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।