পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শিনজো আবের

0

Hasina at Japan[ads1] জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

শনিবার সকালে জাপানের নাগোয়ায় শিনজো আবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয় শেখ হাসিনার।

পরে বিকালে টোকিওতে বাংলাদেশের নতুন ও নিজস্ব দূতাবাস ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বিক উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে শিনজো আবে কথা দিয়েছেন। আমরাও উন্নয়নের আরো কিছু প্রস্তাব দিয়েছি।

‘আমি মনে করি, বাংলাদেশও জাপানের মধ্যে এই সহযোগিতার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো গভীর হবে।’

নতুন দূতাবাস ভবন উদ্বোধন করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দিনটি সত্যি একটা আনন্দের দিন। সত্যিই আমাদের একটা ঠিকানা হল। পুরোটাই আমাদের বাংলাদেশ মনে হচ্ছে।’[ads1]

(জাপানের টোকিওতে নতুন দূতাবাস উদ্বোধন পরবর্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এবং (জাপানের রাজধানী টোকিওতে নতুন দূতাবাস ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)
(জাপানের টোকিওতে নতুন দূতাবাস উদ্বোধন পরবর্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এবং (জাপানের রাজধানী টোকিওতে নতুন দূতাবাস ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)

[ads2]অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, যিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের সঙ্গীদের মধ্যে একমাত্র জীবিত ব্যক্তি।

শেখ রেহানাকে ‘জোর করে’ জাপান নিয়ে গেছেন জানিয়ে হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসাবে বঙ্গবন্ধুর প্রথম জাপান সফরে ‘দুদেশের মধ্যে যে বন্ধুত্ব রচিত হয়েছিল, তার একজন এখানে আছে’।

‘ও না আসলে এটা অধরাই হয়ে থাকত।’

ছোট মেয়ে রেহানার সঙ্গে ছোট ছেলে শেখ রাসেলও বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের সঙ্গীদের মধ্যে ছিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাপানের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা চরম বিপদে পাশে ছিল, তাদের কথা ভুলে যাওয়ার নয়।’

বঙ্গবন্ধু সেতুসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ও স্থাপনা নির্মাণে জাপানের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘এই বন্ধুত্ব ভুলে যাওয়ার জন্য নয়।’[ads1]

জি-সেভেন আউটরিচ মিটিং সফল হয়েছে মন্তব্য করে সেখানে আমন্ত্রণ জানানোয় শিনজো আবেকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বক্তব্যে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী বাজেট বিশাল আকারের হবে। এত বড় বাজেট আগে কখনো দেওয়া হয় নাই। এই সক্ষমতাও আমরা অর্জন করেছি।’

বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেছে মন্তব্য করে তা ধরে রাখতে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।[ads1]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More