সুখবরটি হচ্ছে, আবারও তাদের অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ানো হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করা হতে পারে। সাধারণ কর্মচারীদের বয়স ৫৯ থেকে বাড়িয়ে ৬১ করার প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যে এমন বিধান রেখে গণকর্মচারী অবসর আইন-২০১৫ সংশোধন সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে। এদিকে, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তিন স্তরের পদোন্নতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পদোন্নতি সংক্রান্ত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভাও চলছে। আগামী বছরের শুরুতেই এ পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স নিয়ে আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কিছু পর্যালোচনাসহ একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে। জনপ্রশাসনের প্রস্তাবে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের বয়স বাড়ানো হলে সাধারণ কর্মচারীদের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি আসতে পারে। তিন স্তরের পদোন্নতির ক্ষেত্রে তিনি বলেন, পদোন্নতির বৈঠক চলছে। এখনই বলা যাবে না কতজন কর্মকর্তা পদোন্নতি পাবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে জানায়, আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণসহ বয়স বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবই মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। এ ক্ষেত্রে গণকর্মচারী অবসর আইন সংশোধনীর প্রস্তুতি রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়ার জন্য মন্ত্রিসভায় মতামত দেবে। প্রথমত, ইতিমধ্যে যেসব মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারী অবসরে গেছেন তাদের সুবিধা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে, দ্বিতীয়ত, যারা অবসর-পূর্ববর্তী ছুটিতে গেছেন তারা এ সুবিধা পাবেন কি-না, মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স বাড়ানো হলে কত বছর বাড়ানো সঙ্গত হবে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের বয়স বাড়ানো হলে সাধারণ কর্মচারীদের অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখা। সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীর সংখ্যা হবে ৫ হাজার। সব মিলিয়ে গণকর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ।
তবে বয়স বাড়ানোর ব্যাপারে প্রশাসনের মধ্যম ও শেষভাগের কর্মচারীদের আপত্তি রয়েছে। তারা মনে করছেন, বয়স বাড়ানো হলে পদোন্নতির সুযোগ বিঘি্নত হয়। পাশাপশি পদ শূন্য না হওয়ায় বেকারদের চাকরির সুযোগ কমে আসে। বয়স বাড়ানোর আগে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোসহ পদোন্নতির একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।