চট্টগ্রাম: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘গণভবনে ১৪ দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় নেতাকর্মী-ব্যবসায়ীদের বাসা ও অফিসে হামলা করার যে হুমকি দিয়েছেন তাতে সমগ্র জাতি আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, তখন বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদা ছাড়া আর তো কিছু থাকে না। এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন। তার বক্তব্যে রাজনৈতিক সঙ্কট আরো ঘনিভূত হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
নোমান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে রক্ষী বাহিনীকে একীভূত করে সারা দেশে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল। বর্তমান সরকার প্রার্থীবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ক্যাডারদের একীভূত করে বিশেষ অভিযানের নামে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, গুম ও নির্বিচারে হত্যা করছে।’
তিনি বলেন, ‘এই নারকীয় কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও দেশ রক্ষার চলমান আন্দোলনকে আরো জোরদার করে এই সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া বর্তমান সঙ্কট থেকে উত্তরণের অন্য কোনো পথ এখন খোলা নেই।’
মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএনপি’র কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, মহানগর জাসাসের সভাপতি কাজী আকবর, মহানগর বিএনপি নেতা ওহাব কাশেমী, আহমেদুল আলম রাসেল, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মামনুল ইসলাম হুমায়ুন, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।
এম এস