ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের আমন্ত্রণে চারদিনের এক সরকারি সফরে টোকিও’র উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
শনিবার রাত সোয়া ১২টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গিদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
তার এই সফরের মধ্য দিয়ে ঢাকা ও টোকিওর দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দীর্ঘ প্রতিক্ষীত গঙ্গা বাঁধ নির্শাণে জাপানি সহায়তা চাইবেন। এছাড়াও প্রস্তাবিত বেশ কিছু বৃহৎ প্রকল্পে সহায়তা চাওয়ার কথা রয়েছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দ্বি-পক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী এক যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন।
আগামীকাল সোমবার টোকিওর ইম্পেরিয়াল প্রাসাদে জাপানের সম্রাট আকিহিতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী জাপানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে’কে একটি সাক্ষাৎকার দেবেন। তিনি ২৯ মে সকাল ৭টায় দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো দেশে এটি হবে শেখ হাসিনার প্রথম দ্বি-পক্ষীয় সফর এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাপানে এটি হবে তাঁর তৃতীয় সরকারি সফর।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, রেলওয়ে মন্ত্রী মুজিবুল হক, সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কূটনৈতিক কোরের ডিন এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
টোকিও যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় দেড় ঘণ্টা যাত্রা বিরতি করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি রোববার বেলা ১টায় (জাপান সময়) টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।