কুড়িগ্রাম: ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যায় ক্ষতিপূরণের ৫ লাখ রুপি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এ ঘটনার জন্য ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামকে দায়ী করেছে তারা।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেলানী হত্যা মামলার আইনজীবী ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন।
বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মিজানুর রহমান এবং ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শ্রী সাইরিয়াক যোসেপের কাছে কিশোরী ফেলানী হত্যাকে আন্তর্জাতিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করে, এ মামলায় ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করেন। এ ঘটনায় প্রেক্ষিতে গত সোমবার দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে ৫ লাখ রুপি দিতে নির্দেশ দেন।
পিপি আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘সোমবারের এ নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ রুপি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনার জন্য ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামকে দায়ী করে জানায়, কাঁটাতারের ওপর দিয়ে সীমান্ত পার করাতে গিয়ে মেয়েকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়, বাবা নুরুল ইসলাম।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। এ ঘটনায় দু দফা বিচারে অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেয় বিএসএফের বিশেষ আদালত। চলতি বছরের ৮ জুলাই বাংলাদেশ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সহায়তায় বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) এর মাধ্যমে ভারতের উচ্চ আদালতে ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম নুরু।