বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবৃুর রহমারে জীবনীর ওপর পুণ্যদৈঘ্য ছায়াছবি নির্মানের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে মঙ্গলবার বেগম পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য মন্ত্রী এ্ই তথ্য জানান। বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
তথ্য মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রামান্য চিত্র নির্মান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতো বিশাল রাজনৈতিক চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের ওপর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গবেষনা ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রযেছে।
ভারতে টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের বিষয় সার্ক ফোরামে উত্থাপন করা হবে বেগম আখতার জাহানের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেেেশ ভারতের ৩২টি পে চ্যানেল এবং ৮টি ফ্রি চ্যানেল সম্প্রচারিত হলেও বর্তমানে ভারতে বাংলাদেশের কোন টিভি চ্যানেল প্রদর্শন করা হয় না। ভারতে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল প্রচারে আইনগত কোন বাধা নেই। তবে বিদেশী টিভি চ্যানেল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ডাউনলিংক ফি বেশী হওয়ায় ভারতীয় ক্যাবল অপরারেটররা এই বিয়ে আগ্রহী হচেচ্ছনা। বিসয়টি ভারতীয় সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট উত্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রী আরো জানান, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচার ব্যবস্থা ফ্রি ট্যু এয়ার হওয়ায় উপযুক্ত প্যারামিটারের মাধ্যমে স্যাটেলাইটের সাহায্যে বর্তমান ভারতসহ পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশের দর্শকরা দেখার সুযোগ পাচ্ছে। যে কোন ভারতীয় দর্শক ক্যাবল অপারেটর ডাউনলিংকের মাধ্যমে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্টান উপভোগের সুযোগ পাচ্ছে।
অনলাইন নীতিমালা প্রক্রিয়াধীন
নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য মন্ত্রী বলেন, অনলাইনভিত্তিক সংবাদপত্র সমুহকে একটি নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে আনয়নের লক্ ে তথ্য মন্ত্রনালয় হতে ‘ অনলাইন গণমাদম সসহায়ক নীতিমালা’ শিরোনামে একটি নীতিমালা প্রনয়ন কার্যক্রম বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নীতিমালাটি প্রণয়নের জন্য একটি ্উপকমিটিও করা হয়েছে। কমিটি কাজ করছে এবং আশা করা যায় অচিরেই উক্ত নীতিমালা চূড়ান্তকরা সম্ভব হবে।
নতুন টিভি চ্যানেল দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি
দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য মন্ত্রী বলেন, তথ্য মন্ত্রনালয় বেসরকাারিখাতে মোট ৪১টি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন প্রদান করেছে। বর্তমানে বেসরকারি খাতে ২৩টি এবং সরকারি খাতে ৩টি টেলিভিশন চ্যানেল চালু রয়েছে। নতুন কোন বেসরকারি সংবাদ চ্যানেল (টিভি) অনুমোদনের বিসয়ে তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃপক্ষ এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়নি।
নতুন করে গ্যাস সংযোগ নয়
চাহিদার তুলনায় গ্যাস ঘটতি থাকায় নতুন এলাকায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না বলে সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ছবি । ছবি বিশ্বাসের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন।
নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদার তুলানায় সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাস উৎপাদন/সরবরাহ আংশিক বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে নতুন এলাকা বর্ধিত না করে, যেসব এলাকায় ইতোমধ্যে গ্যাস বিতরণ লাইন বিদ্যমান শুধুমাত্র সেসব এলাকায় নিজ নিজ বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে।
সংযোগ বন্ধ করায় অবৈধ সংযোগ বৃদ্ধি পায়
আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের ১৩ জুলঅই থেকে আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করার পরে অবৈধ সংযোগ নেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তবে ২০১৩ সালের মে থেকে আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া শুরু হলে এ প্রবণতা হ্রাস পায়। তবে এখনো কোন কোন এলাকায় অবৈধ ভাবে বিতরণ লাইন স্থাপণ করে সংযোগ দেয়া হচ্ছে। তবে যেসব অবৈধ গ্রাহক সংযোগ নিয়মিতকরণের জন্য আবেদন করেছেন তাদের সংযোগ নিয়মানুযায়ী নিয়মিত করা হচ্ছে। তবে শিল্প বা বাণিজ্যিক এলাকায় কোন অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তিতাস অধিভ’ক্ত এলাকায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান রয়েছে।
বিগম পিনু খান (মহিলা আসন-২৩) এর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট উদপাদন ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
৬৫ভাগ বিদ্যুৎ গ্যাস ভিত্তিক কেন্দ্র থেকে
একেএম মাঈদুল ইসলামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমান উৎপাদিত বিদ্যুতের শতকরা ৬৫ ভাগ গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত হয়। বর্তমানে ৩হাজার ১৫৬ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ৪১ টি তরল জ্বালানী ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। চাহিদার প্রেক্ষিতে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন তরল জ্বালাণী আমদানী করা হয়েছে। বর্তমান অর্থ বছরে এই আমদানীর পরিমান ধরা হয়েছে ২০ লাখ মেট্রিক টন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০ টি ক্ষুদ্র ও মাঝারী বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপণের জন্য বিভিন্ন কোম্পানীর সাএথ চুক্তি সম্পন্ন হয়, যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১হাজার ৬৫৩ মেগাওয়াট। আর বেসরকারী খাতে মোট ৬টি ডিজেল বিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে যার সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ৫৫৬ মেগাওয়াট।
তিনি জানান, বিদ্যুতের মোট স্থাপিত ক্ষমতার ৫৫ শতাংশ সরকারের নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এবং ৪০ শতাংশ বেসরকারী খাতের। আর ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
মন্দির-মসজিদের বিদ্যুৎ বিল ১০০ ইউনিট পর্যন্ত মওকুফ
তালুকদার মো. ইউনুসের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মসজিদসহ অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করার পরিকল্পনা নেই। তবে নিয়মিত আয়ের উৎসবিহীন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মাসিক ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।