বজ্রপাতে ৪ জেলায় ১০ জনের প্রাণহানি

0

Bojropat1ঢাকা: বজ্রপাতে চার জেলায় স্কুলছাত্রীসহ ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ জন।

শনিবার সকাল থেকে দিনের বিভিন্ন সময় সুনামগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর ও গাইবন্ধায় এসব ঘটনা ঘটে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ
সুনামগঞ্জ: বজ্রপাতে সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় পাঁচ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শনিবার দুপুরে দিরাই, তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সায়েস আলম। বাংলামেইলকে জানান, হাওরে ধান কাটার সময় ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ঊর্ধাপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদির (২০) ও সরমঙ্গল ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের হরিভক্ত দাস (৪০) এবং সদর ইউনিয়নের শিবরামপু গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিলের (৫০) মৃত্যু হয়।

তাহিরপুর থানার ওসি শহিদ উল্লাহ জানান, বাড়ির আঙিনায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে মধ্যনগর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কোপাড়া গ্রামের আব্দুল বাছেরের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪০) মারা যান। তবে মৃতদের মধ্যে এক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শেরপুর: বজ্রপাতে শেরপুর সদর ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার সমচচূড়া গ্রামের হোসেনের মেয়ে স্কুলছাত্রী মরিয়ম বেগম (১২) বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে যায়। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই উপজেলার গাগলাজানি গ্রামে বাড়ির আঙিনায় গৃহস্থলির কাজ করছিলেন আব্দুল হামিদ হামুর স্ত্রী মালেকা বেগম (৫০)। হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান।

এছাড়া সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার বাদাতেঘরিয়া গ্রামে গাছ কাটার সময় বজ্রপাতে মারা যান মৃত গেন্দু শেখের ছেলে বদ্দি মিয়া (৩৫)। এ সময় আহত হন আরও তিন জন।

জামালপুর: বজ্রপাতে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের চরহাতিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মজিদ ছেলে রুবেল হোসেনের (১৬) হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় বাবা আব্দুল মজিদ নিজেও আহত হন।

হাতিভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ বাংলামেইলকে জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল মজিদ ছেলে রুবেলকে নিয়ে বাড়ির কাছে ক্ষেতে ধান কাটতে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে রুবেল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর অবস্থায় আব্দুল মজিদকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গাইবান্ধা: বজ্রপাতে গাইবান্ধা শহরের কুঠিপাড়ায় এলাকায় নারায়ণ চন্দ্র নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন তার স্ত্রী কমলা রানী।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রতিদিনের মতো স্বামী-স্ত্রী বাড়ির আঙিনায় রান্না করছিলেন। সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাত হলে নারায়ণ চন্দ্রের শরীর ঝলসে যায় এবং স্ত্রী কমলা রানী আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে গাইবান্ধা সদর হাসপতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নারায়ণ চন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রী কমলা রানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More