দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নগরীতে আবার জমে উঠেছে ইলিশের বাজারগুলো।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১৫ দিন শিকার, আহরণ, মজুত ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। শুক্রবার রাত ১২ টার পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে গত ২ দিনে পুনরায় জমজমাট হয়ে উঠেছে ইলিশের বাজারগুলো।
জেলা মৎস্য পাইকারী ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী আসরাফ আজ বাসস’কে জানান, গতকাল বরিশাল ঘাটে প্রায় ১৫’শ মন ইলিশের আমদানি হয়েছিলো। ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর জেলেরাও নতুন উদ্যমে মাছ ধরায় ব্যস্ত। জালেও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। আজ ঘাটে শত শত মন মাছ আসতে শুরু করেছে। আর অনেকদিন পর ইলিশের বাজার শুরুর পাশাপাশি পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে বলে তিনি জানান। বাজার ঘুরে দেখা গেছে,অন্যান্য সময়ের চাইতে ইলিশের ব্যাপক সরবরাহ। ক্রেতাদের আনাগোনাও প্রচুর। আর দামও আগের চাইতে অনেক কম। ৩’শ থেকে ৫’শ গ্রামের ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার টাকা মন, ৫’শ থেকে ৮’শ গ্রামের ২৯ হাজার টাকা ও ১ কেজি ওজনের ইলিশ ৪১ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে।
মূলত ইলিশের মৌসুম শেষের দিকে চলে আসায় দাম কমে যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করেন। সামনের দিনগুলোতে দাম আরো কমবে বলে জানান তারা। তবে খুচরা বাজারে ইলিশের দাম না কমায় অনেকে ক্রেতাকে পাইকারি বাজার থেকে ইলিশ কিনতে দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর কষাকষিতে মুখর হয়ে উঠেছে ইলিশের বাজার।
মৎস্য ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন কাজী ও সুরোজ মিয়া বলেন, ‘মা ইলিশ’ রক্ষা কার্যক্রম জেলায় কঠোরভাবে পালন হয়েছে। দীর্ঘ বিরতির পর ইলিশ শিকার শুরু হওয়ায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। পাশাপাশি পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় তাদের লাভও ভালো হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. ওয়াহিদুজ্জামন বাসস’কে বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। একে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এর উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এবছর সকলের প্রচেষ্টায় বহুগুণে মা ইলিশ রক্ষা করা গেছে। ফলে আগামী দিনে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।