বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আহসান হাবিব কামালের বিরুদ্ধে ওঠা সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কামালের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ আসার পর যাচাই-বাছাইয়ে তা যথাযথ মনে হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালককে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার দুদক সূত্র বাংলামেইলকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, মেয়র আহসান হাবিব কামালের বিরুদ্ধে একটি রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। এই উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদার এবং কর্পোরেশন কর্মকর্তাদের যোগসাজসে তিনি এসব করেছেন বলে দুদকে আসা অভিযোগে বলা আছে। ওই অভিযোগে আরো বলা আছে, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের সহায়তায় একটি রাস্তা নির্মাণ করেন, যার আনুমানিক ব্যয় ৬০ লাখ টাকা। এটি মেরামতের পর দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষার কথা বলা হলেও সেটি ৬০ দিনও টেকেনি। বর্তমানে ওই সড়কটি খানা-খন্দে ভর্তি এবং ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সূত্রটি আরো জানায়, মেয়র আহসান হাবিব কামালসহ প্রকল্পের ঠিকাদার এবং কর্পোরেশন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ দুদকে আসলে তা আমলে নিয়ে যাচাই-বাছাই করে কমিশন। যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগটি যথাযথ মনে হওয়ায় গত ২৯ জুলাই তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্তনুযায়ী আজ দুদকের উপ-পরিচালক ও বরিশাল বিভাগীয় ডেস্ক অফিসার এ. কে.এম. ফজলুল হক (অনু. ও তদন্ত-২) বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বরাবর চিঠি দেন। চিঠিতে ওই পরিচালকের অধীনে একজন অনুসন্ধানী কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।