বর্তমান সিলেবাস পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় এটা অর্বাচিনরা তৈরী করেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, কলেজ ভার্সিটিতে যেসব শিক্ষা দেয়া হয় তা যৈবিক চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন কিন্তু মানুষের চারিত্রিক গুণাবলীসহ আধ্যাত্মিকতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন কোররান- হাদীসের শিক্ষা। এই দুই ধারার শিক্ষার মিলনের অনুপস্থিতির কারণেই আজকের সমাজে অবক্ষয়। তাই ইসলাম বাদ দিয়ে বর্তমান যে সিলেবাস চলছে তা পুড়িয়ে ফেলা উচিৎ।
ড. এমাজ উদ্দিন বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা, পাঠ্যসূচি ও শিক্ষাআইন পর্যালোচনা করার জন্য ইসলামী শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। যেই কমিটি তাদের পর্যালোচনার প্রস্তাবনা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পেশ করবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স হলে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষাআইন ২০১৬ এবং সিলেবাস পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সহ-সভাপতি মাওলানা মোস্তফা আজাদের সভাপতিত্বে ও মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি মাওলানা জহিরুল হক ভূঞা, মহাসচিব মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী, ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারী মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. ঈসা শাহেদী, মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, অধ্যাপক মাওলানা আবদুল করীম, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া।
মোস্তাফা আজাদ বলেন, বর্তমান পাঠ্যসূচির স্থলে আমরা একটি পাঠ্যসূচি তৈরী করে দেব সরকারকে সেটা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান হিন্দুত্ববাদের পাঠ্যসূচি বাতিলের দাবী আদায়ে সারাদেশে জনমত গঠন করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
নূর হুসাইন কাসেমী বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা এমন হওয়া উচিৎ যাতে মানুষ আদর্শ চরিত্র মানবতাবোধ নিয়ে গড়ে ওঠে। কিন্তু বর্তমান সিলেবাসে এসব শিক্ষা বাদ দিয়ে অনেকাংশে হিন্দুত্ববাদ ঢোকানো হয়েছে। এ সিলেবাসে ছাত্র-ছাত্রীদের মুসলমানিত্ব থাকবে না। তিনি পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়া আগেই এ দাবী মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।