মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লংঘন, প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা ও চাকরির সুযোগ-সুবিধা না দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন বাংলালিংক অ্যামপ্লয়িজ ইউনিয়নের (প্রস্তাবিত) নেতারা।
শনিবার রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ইউনিয়নের নেতারা। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমানে শ্রম আইনের বিধান লংঘন করে বাংলালিংকে স্থায়ী পদে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়। আট ঘণ্টার বেশি কাজ করিয়ে যথোপযুক্ত ওভারটাইম দেয়া হয় না। এছাড়া শ্রম আইন অনুসারে কোম্পানির মুনাফার ৫ শতাংশ কর্মীদের মধ্যে সমানভাবে বণ্টন করতে হয়, যার মধ্য ১০ শতাংশ সরকারি শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা দিতে হয়। এই মুনাফার বোনাস থেকে কর্মীদের বঞ্চিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে কোম্পানির বার্ষিক হিসাবে লস দেখানো হয়। আর যেহেতু লস দেখানো হয়, ফলে সরকারও কর থেকে বঞ্চিত হয়।
শ্রম আইনে গ্রাচুইটি সুবিধা দেয়ার কথা বলা হলেও বাংলালিংকে গ্রাচুইটি দেয়া হয় না। তবে কেউ চাকরি ছেড়ে দেয়ার পর লিগ্যাল নোটিশ পাঠালে তাকে ঠিকই গ্রাচুইটি দেয়া হয়।
আইন অনুসারে কোম্পানির চাকরি বিধিমালা শ্রম অধিদফতর হতে অনুমোদিত হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো বাংলালিংকের চাকরি বিধিমালা শ্রম অধিদফতর হতে অনুমোদিত নয়। বরং যখন খুশি তখন পলিসি তৈরি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ইউনিয়ন নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলালিংকে কর্মচারী ইউনিয়ন গঠন নিয়ে প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করা হলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কর্মচারী ইউনিয়নের বিরোধ শুরু হয়। এর জের ধরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির প্রধান টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (সিটিও) পিরিহেনি এলহামিকে তার কার্যালয়ে প্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখেন কর্মীরা। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি কর্মচারী ইউনিয়নের আন্দোলনের মধ্যে বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়।