বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির মাধ্যমে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার এক রিট আবেদনের রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি এলাকাভেদে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণের জন্য সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের এই আদেশ দিলেন আদালত।
বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ২০১০ সালে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ এ আদেশ দিলেন।
বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করার দাবিতে ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এই রিট দায়ের করে।
রায়ে আদালত বলেছে, ‘উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন’ এই কমিশনের প্রধান হবেন আইন মন্ত্রণালয়ের মনোনীত একজন আইনজ্ঞ।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহায়ণ ও নগর বিশেষজ্ঞ একজন অধ্যাপক, একজন অর্থনীতিবিদ, সরকারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের একজন প্রতনিধি, ভোক্তা অধিকার ও নাগরিক স্বার্থ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ একজন প্রতিনিধি এবং সরকার মনোনীয়ত একজন সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা।
এই কমিশন ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকদের মতামত শুনে, প্রয়োজনে গণশুনানির মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করবে। পাশাপাশি দেশের ভাড়াটিয়া ও মালিকদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিকারের সুপারিশ করবে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, কমিশনের প্রস্তাব অনুসারে সরকার বিদ্যমান বাড়িভাড়া আইন সংশোধনেরও উদ্যোগ নেবে বলে আমরা মনে করি।
সরকার গঠিত কমিশন যেসব সুপারিশ করবে, তা আইনি কাঠামোর রূপ না পাওয়া পর্যন্ত ১৯৯১ সালের বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়িভাড়া সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একজন করে নিয়ন্ত্রক, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রক ও উপ নিয়ন্ত্রক নিয়োগের উদ্যোগ নিতে বলেছে হাইকোর্ট।
রায়ে আরো বলা হয়েছে, সরকার ‘আর্থিক সক্ষমতা সাপেক্ষে’ এই উদ্যোগে নেবে।