বিচার শেষ হওয়ার আশা ডিসেম্বরে

0


21 aug
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞের বিচার এখনো শেষ হয়নি। বিচারের আশা নিয়ে অধীর আগ্রহে ১১ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা, কিন্তু অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে না। গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। সরকার ও ইন্টারপোল তাঁদের ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে, এ বছরের শেষ দিকে বিচারকাজ শেষ হবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হবে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বিচার শেষ হবে।

আজ সেই বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে দলীয় সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তিনি বেঁচে গেলেও হামলায় নিহত হন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ দলের ২৪ নেতাকর্মী-সমর্থক। আহত হন শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থক, সাংবাদিক, পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে ৩৩৮ জন। সেদিন আহত ঢাকার তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের প্রতিক্রিয়ায় পরে অসুস্থ হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মারা যান। ভয়াল স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা আহতদের অনেকে হাত-পা হারিয়ে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। কেউ কেউ নিজের দেহে এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেডের স্প্লিন্টার।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া তখন একটুও এগোয়নি। তদন্তের নামে শুধু দিনের পর দিন, বছরের পর বছর সময় ক্ষেপণ করা হয়েছে। এর পরও বিচারপ্রক্রিয়া এগোচ্ছে ধীরগতিতে। অভিযোগ রয়েছে, জোট সরকারের আমলে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হয়। নিরীহ এক জজ মিয়াকে ধরে এনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়। ওই জবানবন্দিতে তাঁকে দিয়ে কিছু সন্ত্রাসীর নাম বলিয়ে একটি সাধারণ ঘটনা সাজানো হয়। এই নাটকের দেশব্যাপী সমালোচনা হয়। হুজি নেতা মুফতি হান্নান গ্রেপ্তার হওয়ার আগে অন্য জঙ্গিদের কাছ থেকে ২১ আগস্টের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েও ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন কিছু কর্মকর্তা বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের চাপের মুখে প্রকাশ করেনি। পুরো জোট সরকারের আমলেই ২১ আগস্টের ঘটনাটি জজ মিয়া নাটকে সাজানো থাকে।

এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু ওই তদন্তে গ্রেনেডের উৎস এবং গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার পেছনে কারা জড়িত, তা উদ্ঘাটন না করেই তড়িঘড়ি করে চার্জশিট দেওয়া হয়; যে কারণে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আবার তদন্ত হয়। ২০০৯ সালে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর বিভিন্ন আইনিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিচার শুরু হতে কেটে যায় আরো আট মাস।

অভিযোগপত্র দেওয়া হয় দুটি। একটি হত্যা মামলায়, আরেকটি বিস্ফোরক মামলায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুটি মামলাই দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল ৬১ জনের। পরে মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ও দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর অধিকতর তদন্ত হয়। এর প্রতিবেদন দাখিল করার পর ২০১২ সালের ১৯ মার্চ দুটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন (চার্জ) করা হয়।

মামলার বর্তমান অবস্থা : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে সব আসামির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। দুই মামলার বিচারকাজ একসঙ্গে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ চলছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে বিশেষ এজলাসে বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন বিচারকাজ পরিচালনা করছেন। দুটি মামলায়ই মোট সাক্ষী ৪৯১ জন। এর মধ্যে ১৭৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

এ দুটি মামলা পরিচালনাকারী রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ৪৯১ জন সাক্ষীর সবাইকে পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ প্রয়োজন মনে না করলে অন্যদের সাক্ষ্য নেওয়ার দরকার হবে না। সে ক্ষেত্রে আর অল্প কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। এর পরই মামলার বিচারকাজ শেষ হবে। সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, এখন সপ্তাহে দুই দিন এই মামলা দুটির তারিখ থাকে। সামনে প্রতিদিনই মামলার শুনানি হবে। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে মামলা শেষ করা সম্ভব হবে।

এই মামলার বিচারকাজে ধীরগতি কি না এ প্রসঙ্গে সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, মোটেই না। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই মামলা দুটিতে আসামির সংখ্যা ৫২। প্রত্যেক সাক্ষীকে ৫২ জনের পক্ষে আইনজীবীরা জেরা করেন। একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য সমাপ্ত হতে কয়েক দিনও লেগে যায়। তাই বিচার শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি বলেন, আসামিরাও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রাখেন। সে কারণে তাঁদেরও পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত শেষ হতেই পাঁচ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। এরপর আসামিপক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে বিভিন্ন দরখাস্ত নিয়ে যাওয়ায় বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে জঙ্গি আসামিদের বিরুদ্ধে সারা দেশে মামলা রয়েছে। তাদের ওই সব মামলায় আদালতে হাজির করার কারণে টানা বিচারকাজ চলতে পারেনি। এখন এসব ঝামেলা নেই। তাই দ্রুত বিচারকাজ শেষ হবে।

পরের ধাপগুলো : সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর আরো কয়েকটি ধাপ রয়েছে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার জন্য। আইনজীবীরা জানান, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর কারাগারে থাকা ও জামিনে থাকা আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে। তাঁদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ থাকবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় এ সুযোগ রাখা হয়েছে। এই ধারা মোতাবেক আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিতে পারবেন। নিজেদের বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি আসামিদের পক্ষে তাঁরা সাফাই সাক্ষীও ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করতে পারবেন। সাফাই সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের পর মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হবে। সেটা শেষ হওয়ার পর রায়ের জন্য দিন ধার্য হবে।

এগোয় না তদন্ত : জানা যায়, গ্রেনেড হামলার পর পুলিশের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রথমে তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন এসআই আমির হোসেন। পরে মামলাটি ডিবিতে গেলে তদন্তের ভার পড়ে এসআই শামসুল ইসলামের ওপর। এত বড় একটি ঘটনার তদন্ত এসআইদের ওপর পড়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে তদন্ত সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির এএসপি আব্দুর রশিদ ও মুন্সী আতিকুর রহমান মামলার তদন্ত করেন। তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন সিআইডির এস এস রুহুল আমিন। তদন্ত নিয়ে নানা রকমের নাটক সাজান তাঁরা। ওই সময় অভিযোগ ওঠে, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ইন্ধনে ওই তিন কর্মকর্তা মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেন। এ ছাড়া হাওয়া ভবনের কর্ণধারদের ইন্ধন ছিল ব্যাপক। জজ মিয়া নামের এক যুবককে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি আদায় করেন সিআইডির ওই তিন কর্মকর্তা। ওই স্বীকারোক্তিতে কিছু সন্ত্রাসীকে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়।

গ্রেনেড হামলার পর শেখ হাসিনা নিজে এর আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন। জোট সরকার সে দাবি উপেক্ষা করে এফবিআই ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের লোকদেখানো তদন্ত সহায়তা নেয়। তখন রহস্য উদ্ঘাটনে জোট সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আওয়ামী লীগ। ওই সময় বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশন রিপোর্ট দেয়, কিন্তু তা আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে যেটুকু প্রকাশিত হয় তা নিয়ে ছিল নানা বিতর্ক। বিচার বিভাগীয় এবং সরকারি তদন্তের পাশাপাশি বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আইনজীবীদের একটি গণতদন্ত কমিটিও কাজ করে। সেই গণতদন্তের রিপোর্টও সরকার আমলে নেয়নি। এ অবস্থায় একসময় কালক্ষেপণের চোরাবালিতে আটকা পড়ে সরকারের খাপছাড়া তদন্তকাজ। অন্যদিকে সিআইডিও মামলার তদন্ত শেষ না করে ঝুলিয়ে রাখে বিষয়টি।

এক-এগারোতে নতুন মোড় : এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তদন্ত জোরদার করা হয়। ২০০৭ সালের ২২ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় এএসপি ফজলুল কবীরকে। তার পাশাপাশি র‌্যাবও ছায়া তদন্ত করে। তারা ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তদন্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত হন, প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে জঙ্গিরা এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও জঙ্গিনেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ মোট ২২ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেন ফজলুল কবীর।

চার্জশিটে বলা হয়, এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ-হুজি নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতাকর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন চারজলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ও তাঁর ভাইয়েরা, যাঁরা জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

অভিযোগ রয়েছে, হত্যাকারীদের সহযোগিতা করেছিলেন চারদলীয় জোট সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, নেতাসহ তারেক রহমান নিজেও। তৎকালীন হাওয়া ভবনে বসেই শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে এই লোমহর্ষক ঘটনা ঘটানো হয়।

সম্পূরক চার্জশিটে আসামি : সিআইডি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করে। উভয় মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও জোট সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ৩০ জনকে নতুন আসামি করা হয়। এর মধ্যে সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। রয়েছে মুফতি হান্নানসহ তাঁর অনুসারী জঙ্গি সদস্যরা। নতুন তদন্তে প্রকাশ পায়, হাওয়া ভবনে বসেই বিএনপির রাজনীতিকরা এ হামলার পরিকল্পনা করেন। এদিকে নতুন করে ৩০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করায় এ মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২। ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া প্রথম চার্জশিটে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হুজি নেতা মুফতি হান্নান, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ যেসব আসামি আত্মগোপনে আছে তাদের ধরতে ইন্টারপোলের পাশাপাশি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেষ্টা চালাচ্ছে। জোট সরকার জঙ্গিদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তবে বাংলার জনগণ তাদের সেই দুরাশা পূরণ করতে দেয়নি। বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত বিচার শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More