বঙ্গোপসাগর থেকে: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বিমান বাহিনীর এফ-৭ নামের একটি জঙ্গি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা গেছে। তবে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ইঞ্জিন সনাক্ত করা গেছে। আমাদের উদ্ধারকারী জাহাজ সিজিএস তৌফিক বিমানের ভাঙা তিনটি অংশ উদ্ধার করেছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাইলট নিখোঁজ রয়েছেন।’
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) জাফর আলম বাংলামেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের আলাদা টিম তল্লাশি চালাচ্ছে।ইতিমধ্যে বিমানের ইঞ্জিনের অবস্থান সনাক্ত করা গেছে। তবে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।’
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলামেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের লে. কমান্ডার দুরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের পতেঙ্গা লাইট হাউজ থেকে ৭ মাইল দূরে সাগরে প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে শুধু পাইলট তাহমিদেই ছিলেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো।’
এদিকে বিমান বাহিনী থেকে জানা যায়, সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে অভ্যন্তরীণ নিয়মিত উড্ডয়নের অংশ হিসেবে এফ-৭ জঙ্গি বিমানটি উড্ডয়ন করে। ১১টা ১৪ মিনিটের দিকে কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।