বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভা বৃহস্পতিবার

0

teacher commitiঅষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বৈষম্য এবং অবনমনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনসহ সার্বিক বিষয়ে আগামীকাল সাধারণ সভা করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে দুপুরে সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করে সার্বিক বিষয় সাংবাদিকদেরকে অবহিত করবেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি শিক্ষকেরা তাদের লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন। কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করার সময় সার্বিক বিষয়ে আজ ৩ জানুয়ারি পর্যালোচনা সভা করার কথা ছিল। সেটি পরিবর্তন করে আগামীকাল সভা করা হবে বলে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। দাবি আদায়ের বিষয়টি কি পর্যায়ে রয়েছে সে সম্পর্কে তারা কিছু বলতে রাজি হননি। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের সাথে শিক্ষকদের একাধিক বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায়ের বিষয়টি এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।’ আজ ফেডারেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এবং বেতনবৈষম্য দূরীকরণ-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেল ও প্রজ্ঞাপনে প্রতিফলিত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন গত ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে আসছিল। পরবর্তীতে দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেশনের গত ১৯ জানুয়ারির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তক্রমে কর্মবিরতি স্থগিত রাখা হয়। আগামীকাল বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব মিলনায়তনে ফেডারেশনের সাধারণ সভা আহবান করা হয়েছে। ওই সভায় দাবি-দাওয়ার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। সভা শেষে সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে নিজেদের মর্যাদা রক্ষা এবং সব বৈষম্য দূর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলন চলাকালীন বিশ্ববিদালয় শিক্ষকেরা তাদের পূর্বঘোষিত দাবির আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুটি প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব অনুযায়ী সিনিয়র অধ্যাপকদের মধ্য থেকে পাঁচ শতাংশকে সিনিয়র সচিবের সমান মর্যাদা এবং ২৫ শতাংশ অধ্যাপককে গ্রেড-১ এর সমান মর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। সিনিয়র অধ্যাপক যারা হবেন তাদের ‘ডিস্টিংগুয়িশ প্রফেসর’ হিসেবে অভিহিত করা হবে। তারা তাদের মেধা-যোগ্যতার নিরিখেই এ পর্যায়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের গবেষণা ও ডিগ্রিসমূহ মূল্যায়ণ করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More