বেড়েছে রসুন-ডিমের, কমেছে সবজির দাম

0

egg..fishক্রমাগত বাড়ছে রসুনের দাম। পাশাপাশি এ সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে ডিমের দাম। তবে কমছে সবজির দাম। বিশেষ করে আলুর দাম অনেক কমেছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি, চাল, চিনি ও ডাল আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। আর ভোজ্যতেলের দাম সামান্য কমেছে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, বাসাবো, শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমদানিকৃত রসুনের দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে। গতকাল যা বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। আগের সপ্তাহেও যা ছিল ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকা। এর ফলে দেশি রসুনের বাজারও চড়া। বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি দরে। আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। তবে পেঁয়াজের বাজার গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই স্থিতিশীল রয়েছে। দেশি-বিদেশি সব ধরনের পেঁয়াজের দাম নেয়া হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
শীতকালে মুরগি ও ডিমের বাজার বরাবরই চড়া থাকে। ব্রয়লার মুরগি আগের চড়া দামেই অর্থাৎ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে  দেখা যায়। আর লাল লেয়ার মুরগি ১৫৫ থেকে ১৬০, দেশি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০, গরুর মাংস ৩৮০ থেকে ৪০০, খাসির মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এদিকে খামারের মুরগির লাল ডিমের দাম আবারো বেড়ে প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৬ টাকা দরে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা দরে।
তবে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল প্রতি কেজি রুই মাছ আকারভেদে ১৮০ থেকে ৩০০, কাতল ২০০ থেকে ৩৫০, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৬৫০, কই ২০০ থেকে ২২০, শিং ৪০০ থেকে ৬৫০, মাগুর ৩৫০ থেকে ৬০০, টাকি ২০০ থেকে ৩০০, শৈল ২৫০ থেকে ৩৫০, আইড় ৩৫০ থেকে ৪৫০, চিতল ৪০০ থেকে ৫০০, ইলিশ আকারভেদে ৪০০ থেকে ১,২০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সবজি নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে রাজধানীবাসী। এ সপ্তাহে আরেক দফা কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। এর মধ্যে আলুর দাম এক ধাপে ১৫ থেকে ১০ টাকায় নেমে এসেছে। আগের সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৪ থেকে ১৮ টাকায়। এ ছাড়া বেগুন ২০ থেকে ৩০, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০, টমেটো ১৫ থেকে ২৫, শশা ২৫ থেকে ৩০, বরবটি ৩০, পটোল ৪০ থেকে ৪৫, মূলা ১৫ থেকে ২০, ঝিঙা ২৫ থেকে ৩০, পেঁপে ২০ থেকে ২৫, কচুরলতি ৫০, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। প্রতিটি ফুল ও বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২৫, চালকুমড়া ৩০ থেকে ৫৫, কাঁচকলা হালি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়।
চালের বাজার চড়া রয়েছে কয়েক সপ্তাহ ধরেই। একদিকে মিনিকেট চালের মৌসুম আসতে আরো ২-৩ মাস অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে এখন আমনের মৌসুম চললেও চাল সরবরাহে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়ায় চালের দাম কমছে না। গতকাল মানভেদে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে। নাজিরশাইল ৪৮ থেকে ৫২, মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। আর প্রতি কেজি খোলা আটা ২৮ থেকে ৩০, প্যাকেট আটা ৩৩ থেকে ৩৫, খোলা ময়দা ৩৫ থেকে ৩৮, প্যাকেট ৪০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এ ছাড়া আগের চড়া দামেই দেশি চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং চিনি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে।
এদিকে বিশ্ববাজারে দাম কমায় দেশের বাজারেও ভোজ্যতেলের দাম কমার ধারা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয় ৪৪০ থেকে ৪৫৫ টাকায়। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪৪৫ থেকে ৪৬০ টাকা। এক লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। এ ছাড়া খোলা সয়াবিনের তেলও লিটারে ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৪ টাকায়। সুপার পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৩ টাকায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More