ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব বাজেট

0

budget২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একে অর্থনীতিবিদরা মোটামুটি ভালো বলেছেন। তবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা খুবই উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কাজেই বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ থেকে যাচ্ছে বলে জানান তারা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামীর বাজেট ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরসি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বৃহস্পতিবার মানবকণ্ঠকে বলেন, আগামীর বাজেট মোটামুটি ভালো। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার এটি প্রথম বাজেট। কাজেই মিল রেখেই করা হয়েছে। তবে যে অতিরিক্ত ও উচ্চকাঙ্ক্ষী রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সেখানেই চ্যালেঞ্জ থেকে যাচ্ছে। কারণ চলতি অর্থবছরেরটাই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তবে অবকাঠামো, কৃষিখাতে ভালো বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদ্যুত্ ও জ্বালানিখাতে বরাদ্দ কমলেও তা জালানি তেলের কারণে কমেছে বলে তিনি জানান। সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের রিসার্চ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনিন আহমেদ বলেন, এবারের বাজেট খুবই বড়। তা দেশের জন্য ভালো। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও বেশি ধরা হয়েছে। তা যেন বাস্তবায়ন হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, কৃষি, সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে ভালো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটা ভালো। কিন্তু নারীর উন্নয়ন নীতির বাস্তবায়ন নেই। এটাই বড় ঘাটতি বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।[ads1]
অপরদিকে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আগামীর বাজেট ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব। তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে শিল্পের মেটারিয়ালসের ওপর ডিউটি ফি কমানো হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্যাকেজ ভ্যাট চালু রাখা হয়েছে। শিল্প, অবকাঠামোর উন্নয়নে এবার বাজেটে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের বাইরেও জেলায়-জেলায় শিল্প কারখানা গড়ে তোলা যাবে। এতে করে বিনিয়োগ বাড়বে। এবারের বাজেট গত বছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি। এছাড়া সপ্তম-পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার (২০১৬-২০) বাস্তবায়নের সফলতার দিক রচিত হবে বাজেটের সফল বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো অবকাঠামোর ওপর ১০টা মেগা প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করে পৃথক বাজেট দেয়া হয়েছে। এটা আনন্দের কথা। বিভিন্ন দেশ এসব খাতে বিনিয়োগ করতে উত্সাহিত হবে।[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More