ভক্ষকের ভূমিকায় আদানি: মোদি-হাসিনা জোগান দিচ্ছেন জ্বালানি

0

প্রজাতন্ত্র দিবস (২৬ জানুয়ারি) উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিণ্ডেনবার্গ রিসার্চ ভারতীয় শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘আদানি গ্রুপ’ সম্পর্কে কয়েক দশক ধরে শেয়ার কারসাজি, অর্থ পাচার ও হিসাব জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সবাইকে ব্যাপক ধাক্কা দেয়। রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের তৃতীয় ধনী গৌতম আদানি করপোরেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি করেছেন। আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত যে সাতটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আছে, তার সব কটির শেয়ার ৮৬ শতাংশের বেশি অতিমূল্যায়িত।

এছাড়া বলা হয়, আদানি গ্রুপের করপোরেট প্রশাসন ‘ট্যাক্স হেভেন’-খ্যাত সাইপ্রাস, মরিশাস, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশে আদানি পরিবার কাগুজে প্রতিষ্ঠানের ‘একটি বিশাল গোলকধাঁধা’ তৈরি করেছে। সেখানে তাদের না আছে কোনো কর্মচারী, না আছে ঠিকানা, না আছে ফোন নম্বর, না অনলাইন উপস্থিতি। তা সত্ত্বেও প্রায় কাগুজে এসব প্রতিষ্ঠানের নামে এই গ্রুপটি সমন্বিতভাবে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ এনেছে এবং সেসব চুক্তির প্রয়োজনীয় যে দিকগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করার কথা, তা তারা করেনি। শেয়ারবাজারে আদানি গোষ্ঠীর গোলোযোগে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো চোখ বন্ধ করে বসে আছে। আদানি গ্রুপ সম্পর্কে আমেরিকান ফার্ম হিণ্ডেনবার্গ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে নতুন কিছু ছিল না। স্টক মার্কেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি সম্পুর্ণরুপে সচেতন ছিল যে মরিশাস থেকে কিছু নামহীন তহবিল আদানির সংস্থাগুলোয় প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে। ‘পানামা পেপারস’-এর মাধ্যমে জানা গেছে যে এই তহবিলটি গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির সঙ্গে যুক্ত। প্রশ্ন হল, এত কিছু জানার পরও কেন সেবি তদন্ত করল না, যেখানে শেয়ারবাজারে প্রভাব ফেলছে এই বিষয়টি? তাদের কি সরকার চুপ থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল? নিঃসন্দেহে, মোদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর বিমানে গৌতম আদানির বসা দৃঢ বন্ধুত্বের ইঙ্গিত দেয়। তবে গৌতম আদানি ও নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক গোপন নয়। ২০০০ সালে মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে আদানির মোট সম্পত্তি ছিল ৩৩০০ কোটি টাকা।

২০১৪ সাল নাগাদ মোদীর মুখ্যমন্ত্রীত্বের সময় যা পাঁচ গুণ বেড়ে ১৬৭৮০ কোটি টাকা হয়েছে। কিন্তু আসল খেলা শুরু হয় তার পরেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম পাঁচ বছরে গৌতম আদানির মোট সম্পদ পাঁচ গুণ বাড়ে। সরকারি ব্যাঙ্কগুলি তাদের অবাধে ঋণ দেয়। লকডাউন শুরুর সময় ২০২০ সালের মার্চ মাসে তাঁর সম্পত্তি ছিল ৬৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু যে দুই বছরে ভারতের ৯৭% পরিবারের আয় ও সম্পদ কমেছে, সেই একই সময়ে গৌতম আদানির সম্পদ ২০২২ সালের মার্চ মাসের হিসেবের নিরিখে দশ গুণ বেড়ে ৬ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে এবং পরের ৬ মাসে সেটিই এক লাফে বেড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার এমন নীতি তৈরি করেছিল যা সরাসরি আদানি গোষ্ঠীকে উপকৃত করে।

একদিকে, আদানি অষ্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে কয়লা আমদানি শুরু করে, অন্যদিকে মোদি সরকার সেই কয়লা আমদানিতে শুল্ক বাতিল করে। আদানি সবুজ হাইড্রোজেন তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করার পরপরই, মোদি সরকার গ্রিন মিশনের অধীনে এটিকে ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। আদানি শস্য সঞ্চয় করার জন্য সাইলো নির্মাণ শুরু করে যখন মোদি সরকার মজুত রাখার আইন শিথিল করার জন্য কৃষক বিরোধী আইন সংশোধন করে। সরকারি নিয়ম পরিবর্তন করার ফলে আদানি দেশের বেশিরভাগ বন্দর ও বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অর্থমন্ত্রাণালয় এবং নীতি আয়োগের আপত্তিও উপেক্ষা করা হয়েছিল। এছাড়াও সন্দেহ রয়েছে যে আদানির প্রতিদ্বন্দ্বী জিভিকের কাছে আয়কর এবং ইডি অভিযানের হুমকি দিয়ে মুম্বাই বিমানবন্দর আদানির হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়েছিল। মোদি ও আদানির এই অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশের যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই আদানি গোষ্ঠী বড় চুক্তি পেয়েছেন। আদানি গ্রুপ অষ্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় তাদের ডানা বি¯তার করেছেন। শ্রীলঙ্কায় এটি প্রকাশ্যে আসে যখন শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান সংসদের সামনে স্বীকার করেন যে তাঁকে রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষ বলেছিলেন যে আদানি গোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ চুক্তি দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই তাঁকে চাপ দিয়েছিলেন ।

একইভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আদানি গ্রুপের সাথে বিদ্যুৎ চুক্তির জন্য চাপ দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। যা নিয়ে ভারতীয় সংসদে দীর্ঘদিন থেকে হইচই চলছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর চাপে অথবা তাঁকে খুশি করতে ভারতের পদলেহী ও ক্ষমতা লোভী বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে নতজানু মস্তকে আদানি গ্রুপের সাথে চুক্তি করেছিলেন বলে জানা গেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনেই শেখ হাসিনা গৌতম আদানির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকের পুরস্কারস্বরুপ গৌতম আদানিকে ব্যাংক চেক হাতে শেখ হাসিনার পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, আদানি গ্রুপের সাথে বিদ্যুৎ চুক্তির কমিশন হিসাবেই এই চেক দেয়া হয়েছে। অথচ শেয়ারবাজারে ফাঁকিবাজি এবং হিসাবপত্রে কারসাজি ও জালিয়াতিতে অভিযুক্ত আদানি গ্রুপের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে সম্পাদিত পিডিবির এই চুক্তি আšতর্জাতিকভাবে নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণে অসম ও অস্বচ্ছ এবং বাংলাদেশের জন্য অভূতপূর্বভাবে বৈষম্যমূলক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

ক্ষতিকারক চুক্তির কারণে বিদ্যুৎ না নিলেও আদানির পকেট ভরাতে হবে বাংলাদেশের জনগণকে! এই গোপন চুক্তি অনুযায়ী ভারত সরকারকে প্রদেয় আদানি পাওয়ারের করের বোঝা আগামী ২৫ বছর পর্যন্তত বাংলাদেশকে টানতে হবে। অথচ আদানির কোম্পানিটি মোদি সরকারের কাছ থেকে ঐ কর ইতোমধ্যে ছাড় পেয়েছে। অর্থাৎ চুক্তিটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেখানে আদানি ভারত সরকারকে ট্যাক্স দেবে না, অথচ সেই ট্যাক্স বাংলাদেশের জনগণকে দিয়ে যেতে হবে। এই অসম চুক্তির ফলে বাংলাদেশ আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত আদানির কাছ থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য থাকবে। বিদ্যুৎ না কিনলেও ২৫ বছর পর্যšত ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপসিটি চার্জ হিসেবে দিতে হবে, যা প্রায় তিনটি পদ্মা সেতুর সমতুল্য খরচ। চুক্তি অনুযায়ী, প্রয়োজন না হলেও কমপক্ষে ৩৪ শতাংশ অর্থাৎ ৫৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনতেই হবে। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ না আনলে বাংলাদেশকে জরিমানা গুনতে হবে। অন্য সোর্স থেকে যে দামে বিদ্যুত কেনে, তার তিন গুণ দাম আদানিকে দিতে হবে। এই বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের জন্য যে কয়লা ব্যবহার করা হবে, সেখানে ২৫০ ডলারের কয়লার জন্য বাংলাদেশকে ৪০০ ডলার করে দিতে হবে। গোপন এই চুক্তি বাংলাদেশ চাইলেও বাতিলও করতে পারবে না। ২৫ বছর পর্যšত এর ঘানি টানতে হবে। চুক্তিটিতে বাংলাদেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে আদানি গোষ্ঠীর স্বার্থকে এমনভাবে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত এই প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি হয়ে যেতে পারে, যার বোঝা দীর্ঘদিন দেশের জনগণকে বইতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদানির সাথে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের করা ঐ গোপন চুক্তিটি বাংলাদেশের জনগনের স্বার্থবিরোধী— অর্থাৎ রাষ্ট্রবিরোধী। রাষ্ট্রবিরোধী চুক্তি করা মানে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধ। বাংলাদেশের জ্বালানী মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্বে আছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জন্য অত্যšত ক্ষতিকর এই চুক্তির দায় মূলত তাঁরই। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, খাদ্যপণ্যসহ একাধিক খাতে আদানি গ্রুপের বিনিয়োগ রয়েছে। নতুন করে আদানি গ্রুপ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত শিল্পনগরে অবস্থিত ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের (আইইজেড) উন্নয়নকারী ও পরিচালক (ডেভেলপার) হিসেবে বিনিয়োগ করতে চাইছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে ২০১৫ সালে দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইতিমধ্যে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ডেভেলপার হিসেবে আদানি-বাংলাদেশ পোর্টস লিমিটেডের কাজ হবে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিচালনা ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া। প্রকল্পের কাজের আওতায় ভারতের মাহিন্দ্রা কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বেজার সাথে আদানির চুক্তির শর্তাবলি স্বাক্ষরের পরের ধাপ হিসেবে উভয় পক্ষের সমঝোতায় একটি যৌথ বিনিয়োগ চুক্তির মাধ্যমে কোম্পানি গঠন করা হবে। এটি চূড়াšত হলে চূড়াšতভাবে আদানির কোম্পানিকে ডেভেলপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এসব কাজ চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হতে পারে। অর্থাৎ বাংলাদেশের জমি লিজ দিবে আদানি। কি ভয়াবহ পরিকল্পনা!

এছাড়া ভারতীয় এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য একটি জেটিও স্থাপন করতে চায় আদানি গ্রুপ। তবে এ বিষয়ে এখনো কিছু চুড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। এর বাইরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ প্র¯তাব দিয়েছিল আদানি গ্রুপ। ২০২০ সালের আগস্টে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এ প্রস্তাব দেয় তারা। এগুলো হলো চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা, পতেঙ্গা টার্মিনাল পরিচালনা ও লালদিয়ায় টার্মিনাল স্থাপন ও পরিচালনা। এগুলো এখনও চুড়াšত হয়নি। ভোজ্যতেলসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে খাদ্য তৈরির একটি শিল্পপার্ক করার পরিকল্পনাও রয়েছে আদানি গ্রুপের। এ জন্য বছর তিনেক আগে শিল্পনগরের মধ্যেই পৃথক ১০০ একর জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতেও বিনিয়োগে আগ্রহ রয়েছে আদানি গ্রুপের। সরকারি প্রকল্পের জন্য বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও বিতরণ খাতে বিনিয়োগের করতে চায় গ্রুপটি। পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে কয়লা, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ রয়েছে তাদের। মোদিকে খুশি রাখতে হাসিনা সবকিছু দিয়ে দিচ্ছেন আদানিকে। আদানি গ্রুপ বাংলাদেশ গিলে খেতে চাইছে। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাখা, ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধন করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। ক্ষমতায় থাকার লোভে এই পরীক্ষিত ভারত বন্ধু ভারত ও আদানিকে আর কি কি দিয়েছেন সেগুলোও প্রকাশ হওয়া দরকার। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলার নাম করে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমতি দিয়ে জনগণের ৫৬ হাজার কোটি টাকা সরকারের লোকজন ইতোমধ্যে লুটপাট করে নিয়েছেন। এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও আরও হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জের নামে তারা নিয়ে যাচ্ছেন। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে ‘কারচুপি ও জালিয়াতির’ অভিযোগ তদেšতর জন্য বিচার বিভাগীয় তদšত কমিটি গঠন করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মত এমন একটি উদ্যোগ নিবেন? মোদি-হাসিনা-আদানিকে মোকাবেলা করতে হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের স্বার্থ বিরোধী মোদি-হাসিনা-আদানির সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।

উৎসঃ   সুরমা নিউজ
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More