[ads1]ভারতকে ‘বন্ধু’ উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘এই বন্ধুত্ব যদি জাতীয় স্বার্থে না হয়ে বিশেষ ব্যক্তিস্বার্থে হয়, তাহলে সেটা বন্ধুত্ব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের বক্তব্যে যে আধিপত্যবাদের ভূমিকা দেখা যাচ্ছে, তা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।’ কিন্তু নির্দিষ্ট করে ভারতের কোন রাজনৈতিক দলের নেতা বা সরকারের প্রতিনিধি কী ‘বক্তব্য’ দিয়েছেন, তা উল্লেখ করেননি বিএনপির অন্যতম এ শীর্ষ নেতা।
নির্বাচন নিয়ে জনগণের আর কোনো আগ্রহ নেই মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ক্ষমতাসীনরা ধ্বংস করে দিয়েছে। আর তা বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রমাণিত। এ ছাড়া জনগণ বুঝেছে, নির্বাচন হলেও কিভাবে ফলাফল সরকার নিজেদের দখলে নিয়ে যায়।[ads2]
শুক্রবার ২৪ (জুন) দুপরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভয়েস অব ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক পলাশী দিবসের শিক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র আজ অনুপস্থিত আর এ জন্য বর্তমান ক্ষমতাসীনরা দায়ী। ১৯৭১ সালে যেভাবে রাজপথ রক্তাক্ত করে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে একইভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।’
রাস্তার আন্দোলন পরাজিত হয় না উল্লেখ করে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আন্দোলনের অন্যতম স্থান রাজপথ। রাজপথের আন্দোলন কখনো পরাজিত হয়নি। তাই দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে বিএনপিকে রাস্তায় নামতে হবে।’
পলাশী যুদ্ধের পেক্ষাপট তুলে ধরে নোমান বলেন, ‘পলাশীর সময় যে অবস্থা বিরাজমান ছিল, বর্তমান বাংলাদেশেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আমাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। আর এই ঐক্য কোনো দলের মধ্যে হবে না, হবে জনগণের মধ্যে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান রিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।[ads2]