ঢাকা: ধর্ম মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানিয়েছেন, চলতি অর্থ বছরে প্রত্যেক সংসদ সদস্যের এলাকায় মসজিদ সংস্কার ও মেরামতের জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মন্দিরের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মঙ্গলবার বিকেলে পৃথক দুটি প্রশ্নের উত্তরে ধর্ম মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমন তথ্য দেন। এসময় তিনি এ বরাদ্দ বৃদ্ধির কোন পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলেও জানান।
ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে আধুনিক মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করবে বর্তমান সরকার। তবে দেশের সব মসজিদের ইমামদেরকে সরকারিভাবে কোন সম্মানী দেয়ার পরিকল্পনার আপাতত সরকারের নেই।’
ঢাকা-৭ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের উত্তরে ধর্ম মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়াক্ফ দলিলের বিধান এবং ওয়াক্ফ অধ্যাদেশ ১৯৬২এর বিধান অনুযায়ী ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ করা হয়। এ সম্পত্তি হতে প্রাপ্ত নিট আয়ের পাঁচ শতাংশ চাঁদা ওয়াক্ফ প্রশাসন পেয়ে থাকে। অবশিষ্ট টাকা ওয়াক্ফ দলিলের বিধান মোতাবেক মোতাওয়াল্লি বা পরিচালনা কমিটি ধর্মীয় কার্যাদি, বৃত্তিভোগীদের ভাতা প্রদান, সরকারি কর পরিশোধ এবং এস্টেটের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার লালবাগ ও চকবাজার এলাকায় ওয়াক্ফ এস্টেটের সংখ্যা ১১২টি (মসজিদ ৭২টি)। মোট জমির পরিমাণ ৪৩.৪৭ একর, আওলাদ-২১টি ও লিল্লাহ-৯১টি। কোতআলী ও বংশাল এলাকায় ওয়াক্ফ এস্টেটের সংখ্যা ১৫০টি (মসজিদ ৭৬টি), মোট জমির পরিমাণ ৬৮.৭৮ একর, আওলাদ ৪০টি ও লিল্লাহ ১১০টি।