মহেশখালীর হোয়ানক হরিয়ারছড়া থেকে বাদশা মিয়া মেম্বার নামের আরো একজন রাজাকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলমের নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাদশা মিয়া মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মহেশখালীর যুদ্ধাপরাধী মৌলভী জকরিয়া ও রশিদ মিয়া বিএ’র সহযোগী ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই এলাকার মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পরই তারা আত্মগোপনে চলে যায়। বাদশা মিয়াকে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে এই ১৬ জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হলো। আদালতের নির্দেশে আসামিদের নাম প্রকাশ করা না হলেও তারা গোপনসূত্রে খবর পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরার জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেছে। এর আগে অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই অপরাধীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশনের করা আবেদনের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি করার পর বিকালেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাদশা মিয়াকে সকালে গ্রেফতার করা হলো। বৃহস্পতিবার নিজ নিজ বাড়ি থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয় তারা হলেন-বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মুহুরীডেল গ্রামের জিন্নাত আলী, পৌর এলাকার ঘরুকঘাটা গ্রামের মৌলবী ওসমান গনি, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের নলবিলা গ্রামের নুরুল ইসলামঅ ওই মামলায় তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আগামী ২২ জুলাই তারিখ ধার্য করেছেন আদালতঅ মামলার তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে বিচার পরিচালনার স্বার্থে এই মামলার বিষয়ে মুখ খুলতে রাজী নন প্রসিকিউটর ও তদতন্ত কর্মকর্তা। ১৬ আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন প্রসিকিউটর রানাদাশগুপ্ত এবং তদতন্ত কর্মকর্তা (আইও) নুরুল ইসলাম।