মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানিতে বিভ্রান্তি!

0

malaysiaবেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে বৃহস্পতিবার ‘জিটুজি প্লাস’ নামে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এতে কনস্ট্রাকশন, সার্ভিস, প্লান্টেশন, এগ্রিকালচার এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী যাবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যা দেশের গণমাধ্যমগুলোতেও প্রকাশিত হয়েছে।
তবে শ্রমিক পাঠানো নিয়ে মালয়েশিয়া বলছে ভিন্ন কথা। বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়া যাবে বলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যে কথা বলা হচ্ছে তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট।
তার দাবি, মোট ১৫ লাখ বাংলাদেশির নাম ভবিষ্যতে বিদেশে নিয়োগের জন্য নিবন্ধন করা হয়েছে। কিন্তু এরা সবাই মালয়েশিয়ায় যাবে, তা সত্য নয়।
শুক্রবার মালয়েশিয়ার দ্য স্টার-এ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে রিচার্ড রায়ট বলেন, ধারণাটা এমন যে, ১৫ লাখ শ্রমিককে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য নিয়ে আসা হবে। কিন্তু এটি সত্য নয়। মূলত এ সংখ্যাটি হলো (১৫ লাখ) বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত দেশটির মোট আগ্রহী শ্রমিকের সংখ্যা। ভবিষ্যতে বিদেশি দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে এদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে রিচার্ড রায়ট আরো বলেন, বাংলাদেশিরা বিশ্বের মোট ১৩৯টি দেশে কাজ করতে চায়। এদের মধ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অন্যতম।
মালয়েশিয়ান মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এই ব্যাখ্যার ফলে তার দেশে বিদেশি শ্রমিক, বিশেষ করে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে বিদ্যমান ভয় ও উদ্বেগ নিরসন হবে। গত বছরের ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় ২১ লাখ ৩৫ হাজার বৈধ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছে। এদের মধ্যে ২ লাখ ৮২ হাজার বাংলাদেশি।
রিচার্ড রায়ট আরো বলেন, ঢাকার সঙ্গে বৃহস্পতিবার এ সংশ্লিষ্ট যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে মালয়েশিয়ার, এ ধরণের স্মারক ইন্দোনেশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের সঙ্গেও তার দেশ স্বাক্ষর করেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More