গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিসান বেকারি নামের রেস্টুরেন্টে কমান্ডো অভিযানে ১২ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের একজন হাসনাত করিম। তিনি বেঁচে এসেছেন সপরিবারে।[ads1]
হাসনাত করিমের বাবা এনআর করিম। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সাফা ও স্ত্রী শারমিন পারভীন।
ছেলের বরাত দিয়ে এনআর করিম জানান, জঙ্গিরা অমুসলিম জিম্মীদের ধরে ধরে হত্যা করেছে। তবে হাসনাত করিমের স্ত্রী হিজাব পরায় তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি তারা। রাতে একবার খেতেও দিয়েছিল তাদের।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হলি আর্টিসানে হামলা করে কয়েকজন অস্ত্রধারী। এসময় তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেস্টুরেন্টের অবস্থানকারীদের জিম্মি করে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্য।[ads2]
আজ সকালে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। অভিযানের ৪৫ মিনিটের মাথায় বেরিয়ে এসে অভিযানে অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা জানান, ভেতরে ৫ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে, এর মধ্যে একজন বিদেশিও আছেন। তবে তারা জিম্মি নাকি সন্ত্রাসী তা জানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভেতরে পাঁচ-ছয়জনকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে রাখা হয়েছে। এরা সম্ভবত রেস্টুরেন্টের কর্মী।
পৌনে ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানানো হয়। অভিযানে সেনা সদস্যদের সঙ্গে অংশ নেয় নৌবাহিনীর কমান্ডো, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ বাহিনী। এখন ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।[ads2]