ঢাকা: সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সরমঞ্জামের বেহাল দশায় হতাশা প্রকাশ করে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যেসব ইকুইপমেন্ট দিয়ে আমাদের প্রকৌশলীরা কাজ করেন সেসবের অবস্থা খুবই খারাপ। বিশেষ করে এই বিভাগের যানবাহনগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে আমি যখন এগুলোর পাশ দিয়ে যাই, তখন লজ্জায় তাকাই না।’
শনিবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সড়কের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজ করেন, তাদেরই যদি টিনশেড কক্ষে অফিস করতে হয় তাহলে কীভাবে তারা নিশ্চিন্তে কাজ করবেন, আর কীভাবেই বা তারা সড়কের উন্নয়ন করবেন?’
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বরাদ্দের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘এই খাতে সরকারের যথেষ্ট বরাদ্দ রয়েছে। তবে তা সময় মতো না পাওয়ায় অনেক সময়ই এই অর্থের সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয় না।’
বিভিন্ন স্থানের সড়কে এখনো সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সব সমস্যা রাতারাতি ঠিক করা সম্ভব না, সেটা আমিও জানি। কিন্তু জনগণতো তা বুঝবে না।’
আগামী কোরবানির ঈদের আগেই সড়কের সকল সমস্যা সমাধান করার তাগিদ দেন তিনি। একই সঙ্গে প্রকৌশলীদের কাজের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ লেস দেখিয়ে কাজের মান খারাপ না করার পরামর্শ দেন।
সওজ বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘গত অর্থবছরে এই বিভাগে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ মোট বরাদ্দ ছিলো ১২শ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকৌশলীরা এই অর্থের মাত্র অর্ধেকটা খরচ করতে পেরেছেন। পরে এ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম রাজ খান আমার কাছে ৫শ’ কোটি টাকা রি-ফান্ডের জন্য আবেদন করেন।’
তবে সব বরাদ্দের সব অর্থ ব্যয় করতে না পারাকে মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের ব্যর্থতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নওগাঁর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ আলম এই বিভাগের মোটরসাইকেলগুলোর খুবই বেহাল দশার কথা জানিয়ে নতুন মোটরসাইকেলের দাবি জানান।
সড়ক ও জনপথ বিভাদের প্রকৌশলীদের শোকজ লেটার ওয়েব সাইটে না দেয়ার জন্য মন্ত্রীর নিকট আর্জি জানালে সচিব বলেন, ‘এটা আসলে আমরা দেই না। কিন্তু যখন কোনো শোকজ ইস্যু হয়, তখন সেখানে সাংবাদিকরা থাকেন। তাদের মাধ্যমেই এ ব্যাপারটি মিডিয়াতে চলে যায়।’
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম রাজ খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুব উল আলম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রক্ষণাবেক্ষণ) বিপুল চন্দ্র সাহাসহ মাঠ পর্যায় থেকে আসা প্রকৌশলীরা।