নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: চলমান অস্থিরতা নিরসন এবং নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর চিরুণী অভিযানে শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত শতাধিক বিরোধী জোটের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে।
এদের মধ্যে বিএনপির ঘাঁটিখ্যাত বগুড়াতে গ্রেপ্তার হয়েছে ৬৪ জন। এছাড়া দিনাজপুর, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আরো অর্ধশতাধিক বিরোধী জোটের নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সারা দেশের মহাসড়কগুলোতে শীতকালীন মহড়ার নামে সেনা বাহিনীর সদস্যদের টহলের মধ্যে রবিবার বড় ধরনের এই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটলো। অবশ্য নির্বাচন উপলক্ষ্যে সেনা বাহিনী ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া বন্দরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবরোধ ও সমাবেশ করার সময় শাহজাহানপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাবেক খরনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, শেরপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জামায়াত নেতা গোলাম ইউনুস, মাঝিড়া উচ্চ বিধ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুস সোবাহানসহ ৬৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট লাগোয়া মাঝিড়া বন্দর থেকে র্যা ব পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
র্যা ব-১২ বগুড়ার কমান্ডার মেজর মোসাদ্দেক ইবনে মুজিব জানান, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় গাড়ি পোড়ানো, ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধের সঙ্গে আটককৃতরা জড়িত। এদের অবরোধে ক্যান্টনমেন্ট থেকে গাড়ি চলাচল মাঝে মাঝে বিঘ্ন ঘটে।
তিনি বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্টের মত স্পর্শকাতর এলাকাতে এরা বারবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছিল।’
বগুড়া পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক জানান, ক্যান্টমেন্ট এলাকায় গাড়ি পোড়ানোর ঘটনাসহ নাশকতামূলক কাজে গ্রেপ্তারকৃতরা জড়িত। তারা মূলত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী।
গ্রেপ্তারকৃত ৬৪ জন এতটায় বেপরোয়া যে মহাসড়কে ফটকী ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করেছিল বলে দাবি করেন তিনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
অপদিকে গতরাতে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটক কৃতদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি ও সাদুল্ল্যাপুরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
পলাশবাড়ি থানা বিএনপি সভাপতির অভিযোগ, অভিযানের সময় কে বা কারা ১৮ দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।