রবি আজিয়াটা লিমিটেড (রবি) ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড (এয়ারটেল) একীভূত হয়ে কাজ করার অনুমতি চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে। যৌথ আবেদনে স্বাক্ষর করেন রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুপুন উইরাজিংহী ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি ডি শর্মা। এর মধ্য দিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠান দুটি। জুলাই পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী রবি’র গ্রাহক প্রায় ৩ কোটি। অপরদিকে এয়ারটেলের প্রায় ১ কোটি। ৫ কোটির বেশি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষ অপারেটর হিসেবে আছে গ্রামীণফোন। দ্বিতীয় শীর্ষ অপারেটরের তালিকায় বাংলালিংক। তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটির বেশি।
এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির সচিব সরওয়ার আলম বলেন, তাদের যৌথ আবেদন পেয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে তাদের আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে। বিটিআরসির সুপারিশের পর সরকারের অনুমোদন লাগবে। বিটিআরসি জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠান দুটির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হবে। পরে তা বিটিআরসির কমিশন বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে ৯ই সেপ্টেম্বর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একীভূত হয়ে কাজ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়। ওই দিন তারা জানান, প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে ঘোষণা করছে যে, স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে মালিকানাধীন টেলিকমিউনিকেশন্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের রবি আজিয়াটা লিমিটেড (রবি) ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড (এয়ারটেল)-এর ব্যবসা একীভূত করা যায় কি-না তা পর্যালোচনার কাজ শুরু করেছে। তবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই যে, দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একীভূত করার যে পর্যালোচনা প্রক্রিয়া তা সুনিশ্চিত চুক্তিতে পরিণত হবে। এই ঘোষণা উভয় প্রতিষ্ঠানের পর্যালোচনার উদ্যোগকে সহায়তা এবং পরস্পরের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধা ও এ সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রক (রেগুলেটরি বডি) সংস্থাসমূহের সঙ্গে আলোচনার পথকেও সহজ করবে।
এতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে বিশেষ কোন অগ্রগতি সাধিত হলে আজিয়াটা ও ভারতী পরবর্তীতে ঘোষণা দেবে। ওই বিজ্ঞপ্তির কয়েক দিনের মধ্যে তারা একীভূত হয়ে কাজ করতে বিটিআরসির কাছে আবেদন করে।