২৬ মার্চ ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ রেকর্ড গড়ার অনুষ্ঠান। আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ একসাথে জাতীয় সংগীত গেয়ে এই রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করে। ১০ দিন পার হলেও রেকর্ডের কোনো ঘোষণা আসেনি। বরং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের কাছে প্রমাণপত্রই উপস্থাপন করা হয়নি।
পরিবর্তন-এর পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। রাত ১০ টার দিকে ফিরতি এক বার্তায় গিনেসের কমিউনিটি ম্যানেজার ড্যান ব্যারেট জানান, এখন পর্যন্ত গিনেস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের কাছ থেকে রেকর্ডের ব্যাপারে কোনো প্রমাণপত্র পায়নি।
ড্যান ব্যারেট বলেন, “আমরা এখনও ইভেন্ট আয়োজকদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি করা বাংলাদেশের রেকর্ড সম্পর্কে প্রমাণ-পত্রের অপেক্ষায় আছি।”
নিয়ম অনুযায়ী গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে রেকর্ড হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করতে হয়। সেক্ষেত্রে গিনেস বুক আবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখে। সর্বশেষ তালিকাভুক্ত রেকর্ড এবং আবেদন করা রেকর্ডের মধ্যে তুলনা করে দেখতে ৬ সপ্তাহ লেগে যায়। এছাড়া আগের রেকর্ডের সাথে তুলনামূলক মূল্যায়ন করে দেখার পর নতুন রেকর্ড হিসেবে তালিকাভুক্ত করতেও আরো ১২ সপ্তাহ সময় লাগে।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ২৬ মার্চই রেকর্ডের ব্যাপারে গিনেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানানো হলেও গিনেসের কমিউনিটি ম্যানেজার ড্যান ব্যারেট –এর কথায় মিলল ভিন্ন বাস্তবতা।
উল্লেখ্য, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী একসাথে বেশি মানুষ জাতীয় সংগীত গাওয়ার বর্তমান রেকর্ডটি ভারতের দখলে আছে।